‘কৃষ্টিতে রাজপুতানা, সৃষ্টিতে উমা’ থিম নিয়ে আসছে দুর্গাপুর সেপকো সর্বজনীন পুজো কমিটি
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১ অক্টোবরঃ
নদী পাড়ে কাশফুলের দোলা আর শিউলি ফুলের গন্ধ, জানান দিচ্ছে শারদ উৎসব আসন্ন। শহর থেকে গ্রাম সব প্রান্তেই চলছে পুজো প্রস্তুতির কাজ। ব্যাতিক্রম নয় দুর্গাপুর সেপকো সর্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটিও। বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রাপ্ত এই পুজো কমিটি এবারেও সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন আর তাই তো এবারেও তাঁরা একদিকে যেমন দর্শনার্থী টানতে থিমে রাখছেন চমক আর তেমনি অন্যদিকে প্রতিমা, থিম সহ পুজোর পরিবেশেও রাখা হবে স্বচ্ছতার নজরদারি।
সেপকো সর্বজনীন দুর্গাপুজা এবারে ২২তম বর্ষে পদার্পণ করলো। ‘কৃষ্টিতে রাজপুতানা, সৃষ্টিতে উমা’, এমনই আকর্ষনীয় থিম নিয়ে আসছে এই পুজোর উদ্যোক্তারা। মন্ডপ ও প্রতিমায় থাকছে রাজস্থানের ছোঁয়া। রাজস্থানের রাজপ্রাসাদের আদলে ৫০ফুট উঁচু ও ৬৫ফুট চওড়া বিশালাকার মন্ডপ গড়ে তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে, সাড়ে ১১ফুট উচ্চতার প্রতিমার পরণে থাকবে রাজস্থানি পোশাক। মন্ডপের ভিতরের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে সমগ্র সজ্জায় রঙবেরঙের কাঁচের চুড়ি, বাঁশের চাঁচ, কাঁচ, কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও রাজস্থানের লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য, কারুশিল্পের ছোঁয়া থাকবে মন্ডপ সজ্জায়। আকর্ষণীয় মন্ডপ ও প্রতিমা অন্যান্য বারের মতো এবারেও দর্শণার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে একশ শতাংশ আশাবাদী উদ্যোক্তারা।
পুজোর সাথে যুক্ত স্থানীয় মহিলারা জানান, পুজোর সমস্ত জোগাড়ে তাঁরা থাকেন। এলাকার পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলারা আগমনির গান ও নৃত্য অনুষ্ঠানে সামিল হন। এই পুজো সর্বজীন হলেও এলাকার মানুষের কাছে একদম যেন ঘরের পুজোর মতোই।
থিম, প্রতিমা, পরিবেশ সচেতনতার কারনে দুবার বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেয়েছে সেপকো সর্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটি। এছাড়াও গত বছর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ‘সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ’ সচেতনতায় জেলায় সেরা হয়েছিল এই পুজো।
এবারের পুজোর বাজেট ১২লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন চতুর্থীর দিন। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত্য থাকবে নানা সংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠান। সাথে মুম্বাইয়ের এক সঙ্গীত শিল্পীও আসছেন সঙ্গীত পরিবেশন করতে।