একদিকে রামমন্দিরের ভূমি পুজো অপরদিকে রাজ্যে লকডাউন, সকাল থেকে কেমন ছিল দুর্গাপুরের পরিবেশ?
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৫ আগস্টঃ
আজ অর্থাৎ বুধবার আগস্ট মাসের ৬ তারিখ প্রথম লকডাউনের দিন। করোনার পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চলতি মাসে সাত দিন লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। অপরদিকে আজ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজো ছিল। সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের চিত্রটা তাই আর পাঁচটা দিনের থেকে ছিল একটু আলাদা। সারা দেশের সাথে সাথে এই শহরেও ছিল উন্মাদনা। রাম মন্দিরের ভূমি পুজো উপলক্ষে দুর্গাপুরের কিছু জায়গা উৎসবের চেহারা নিয়েছিল যেন। মেন গেট এলাকায় দুটি মন্দিরে রীতিমতো মাইক বাজিয়ে পুজোপাট করতে যেমন দেখা যায় তেমনই সেই পুজোপাটকে কেন্দ্র করে বেশ জমায়েত করতেও দেখা যায় মানুষজনকে। সাজানো হয় মন্দিরগুলি। মন্দিরের ভেতর পুজো চলাকালীন সামাজিক বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই চলে পুজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা রামমন্দিরের উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছেন । কারণ এর চেয়ে বড় উৎসব আর কিছু নেই।
অপরদিকে, দুর্গাপুরে সকাল থেকে যে চিত্র ধরা পড়ে তাতে কোথাও মনেই হয় না যে রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন। সকাল হতেই পথেঘাটে মানুষজনের চলাচল যেমন দেখা গেল তেমনই দেখা যায় বাইকে চেপে যাতায়াতও। তবে পুলিশী প্রহরায় ছিল না কোনো খামতি। তাই কিছু জায়গায় দোকানপাট খোলার সাহস দেখালেও পুলিশের রক্তচক্ষুর কাছে হার মেনে সে সব দোকান ফের বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় কোথাও কোথাও মানুষজনের জটলা দেখা দিলেও পুলিশের অনুরোধে শেষে সেই জটলা ভেঙ্গে যে যার ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়। লকডাউন অমান্য করে মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোনোর কারনে অন্যান্য লকডাউনের দিনের মতো এবারেও পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন বেশ কিছু মানুষজন। পুলিশ সুত্রে পাওয়া খবর সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত্য আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত দুর্গাপুর পুলিশের মোট আটটি থানা এলাকায় প্রায় ৫০ জনের মতো মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশের দাবি গত দু দিনের লকডাউনে গ্রেপ্তারের তুলনায় তৃতীয় দিনের এই লকডাউনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা কমেছে, মানুষ সচেতন হচ্ছে এটি তারই ইঙ্গিত।
ই ইঙ্গিত।