খনির আবাসন এলাকায় ধস, অন্যত্র সরানো হল আবাসিকদের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ১০ অক্টোবরঃ
ধস, একাধিক আবাসনে ফাটল ধরার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বড় দুর্ঘটনা এড়াতে অন্যত্র সরানো হলো আবাসিকদের। মধুসূদনপুর ৭ নম্বর কোলিয়ারি আবাসন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে রবিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ইসিএলের কাজোরা এরিয়ার মধুসূদনপুর ৭ নম্বর কোলিয়ারি আবাসন এলাকায় কয়েকটি জায়গায় ধসের ফলে মাটি বসে যায়। বেশ কয়েকটি আবাসনে দেখা দেয় ফাটল। রবিবার ভোর রাতে ঘটনাটি বড় আকার নেয়। একাধিক আবাসনের দেওয়াল, ছাদ ফেটে যায়, যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় আবাসিকদের মধ্যে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসে ইসিএলের আধিকারিক ও নিরাপত্তারক্ষীরা। আবাসিকদের দ্রুত আবাসন খালি করার অনুরোধ জানান তারা। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এলাকা ছাড়তে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আবাসিকদের মধ্যে। স্থানীয়রা জানান ইসিএলের এই আবাসন গুলি পরিতক্ত। আর্জি জানিয়েও বিকল্প আবাসন না পাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে বেশ কয়েকটি খনি কর্মীর পরিবার ও কিছু বহিরাগতরা আবাসন গুলিতে থাকেন। ইসিএল কর্মী আবাসিকরা জানান কোয়ার্টারগুলি বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। বিকল্প কোয়ার্টারের আবেদন জানিয়েও না পাওয়ায় এখানে থাকতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। নতুন কোয়ার্টার পাওয়ার জন্য শ্রমিক সংগঠনের নেতারা টাকা চাইছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
শ্রমিক নেতা সাধন মাঝি (kksc) সত্যেন্দ্র যাদব (Hms) ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন অভিযোগ মিথ্যা। প্রমাণ থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তারা। মুকুন্দপুর কোলিয়ারির ম্যানেজার বিজয় চৌধুরী জানান আবাসন গুলি বহুদিন আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলি দখল করে রয়েছে বেশ কিছু পরিবার। বিপদ এড়াতে আবাসনে থাকা খনি কর্মীদের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দখল করে থাকা অন্য আবাসিকদের আপাতত সংস্থার গেস্টহাউসে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান তিনি। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। স্থায়ী পূনর্বাসনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে ঘরছাড়া আবাসিকরা।