দুর্গাপুরে বামেদের বিক্ষোভের জের, পুলিশী ধড়পাকড়, পালটা মামলার হুমকি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৩ডিসেম্বরঃ
বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর নগর নিগম অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আহত হন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আনন্দ রায়। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সাথে বাম কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম।
এই ঘটনায় সেদিন রাতেই এক বাম কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুর্গাপুরের খয়রাশোল এলাকা থেকে রমেশ প্রামাণিক নামে বাম কর্মীকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর পুলিশ।
ধৃত রমেশ প্রামাণিককের অভিযোগ তাকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে এনেছে পুলিশ। মিছিলের সময় সে কারোর গায়ে হাত দেয়নি বলেও দাবি করে তিনি।
রমেশ প্রামানিকের বাবা বিজয় প্রামানিকের অভিযোগ, গতকাল রাতে শুয়ে পড়েছিলেন তারা। রাত ১২.৩০-১টা নাগাদ আচমকাই তাদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়ে তাঁকে টানতে টানতে থানায় নিয়ে যায়। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রমেশ প্রামানিকের স্ত্রী রূপা প্রামানিকের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে পুলিশ মাঝ রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁর স্বামী গতকাল সিপিএমের মিটিংয়ে গেছিল। কিন্তু ঠিক কি অপরাধে তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে তা তাদের জানায়নি পুলিশ।
এদিকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত ধৃত রমেশ প্রামাণিককের জামিনের আবেদন খারিজ করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গতকাল রাতে খয়রাশোল গ্রামে সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। গতকাল দুর্গাপুর পুরসভায় ঘেরাও অভিযানে আহত হন ডিসি ট্রাফিক আনন্দ রায় সেই কারণেই রাতের বেলা পুলিশ সিপিএমের দুই সমর্থক কে তুলে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ বামেদের। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করেন বিনা কারণে মহিলা পুলিশ ছাড়া পুলিশ তাদের কর্মী সমর্থকদের পরিবারের মানুষকে রাতের বেলা টানাহেঁচড়া করে থানায় নিয়ে গেছেন। সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন বলেও হুমকি দেন।