“ছেলের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক”-দুর্গাপুরে মৃত স্বপনের পরিবারের কাতর আর্জি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১০নভেম্বরঃ
লাউদোহার প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের পেছন থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকের মৃতদেহকে ঘিরে ক্রমশই পারদ চড়ছে শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক মহলে। ওই যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শাসক বিরোধী দুই দলের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে যখন সরগরম শহর তখন ছেলে হারানো এক মায়ের কাতর প্রার্থণা তাদের মানসিক ভারসাম্যহীন মৃত ছেলেকে যেন এই রাজনৈতিক টানাপোড়েন থেকে দূরে রাখা হয়। তাদের এই রাজনৈতিক খেলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ছেলের মৃত্যুর সাথে কোনো রাজনৈতিক যোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন মৃত যুবক স্বপন শোয়ের মা সুলোচনা সোও ও দাদা অরূপ সোও।
প্রসঙ্গতঃ গতকাল স্বপন শোয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে স্বপন তাদের দলের একজন কর্মী ছিলেন আর তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের পেছনে হাত রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশ কোনো রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছে আর পুলিশ আসল অপরাধীদের আড়াল করে উল্টে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হয়রান করছে। এই অভিযোগে আজ মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু ব্যানার্জীর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দুর্গাপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। এরপর রাজু ব্যানার্জী স্বপন শোয়ের পারুলিয়ার বাড়িতে যান তাঁর পরিবারকে স্বান্তনা দিতে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত যুবকের মা জানান যে তাঁরা তাদের ছেলেকে হারিয়েছেন। তাঁরা চান না তাদের ছেলেকে নিয়ে কোনো রকম রাজনীতি হোক। পাশাপাশি এদিন স্বপনের দাদা অরুপ শোয়ের বলেন যে তাঁর ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিল না। যে কোনো দলের মিটিং মিছিল হলেই সেখানেই ও চলে যেতো। তাঁর ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। আমারা এতে অতিষ্ট হয়ে উঠছি। আমাদের এসব একদম ভাল লাগছে না।
মৃত যুবকের পরিবারের এহেন বক্তব্যের পরেই বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জী বলেন, তৃণমূলের থেকে ভয় দেখানো হচ্ছে স্বপনের পরিবারকে। তাই তাঁরা ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।
অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয় যে বিজেপ এই মুহূর্তে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না, তাই এই ঘটনাকে নিয়ে বাজার গরম করতে চাইছে। তাঁরা না জেনে বুঝেই ভুল মন্তব্য করছে।