দুদিন নিখোঁজ থাকার পর রণডিহায় পুকুরের ধার থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার হল ছোট্ট সানি, গ্রেফতার শিশুটির আত্মীয়
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(বুদবুদ), ১৬আগস্টঃ
দিন দুয়েক নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার হল বছর সাতেকের সানি বাগদির মৃতদেহ। এই ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে সানিরই এক প্রতিবেশী আত্মীয়কে। ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়ায় বুদবুদ থানার অন্তর্গত পানাগড়ের রনডিহা গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রণডিহা গ্রামের বাসিন্দা দেবজিৎ বাগদি ও চম্পা বাগদির ছেলে সানি গত পরশু থেকে নিখোঁজ ছিল। ওই দম্পতি বাড়ির বাইরে গেছিলেন শুক্রবার। সানি ঘরে একাই ছিল। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখে সানি উধাও। নানা দিকে খোঁজ করেও সানির হদিশ পাওয়া যায়নি। এরপর সানির বাবা পুলিশকে বিষয়টি জানান। জিজ্ঞাসাবাদে সানির বাবা তাদেরই প্রতিবেশী তথা তাদের সম্পর্কে এক আত্মীয় নিলু বাগদি নামে এক যুবককে গতকাল অর্থাৎ শনিবার আটক করে। জানা গেছে, নিলুর ঘর থেকে একটি রক্তমাখা কাপড় মেলে সাথে ঘরের দেওয়ালে রক্তের ছাপও পাওয়া যায়। এরপর পুলিশী জেরায় নিলু জানায় রনডিহার সেচবাংলোর কাছে একটি পুকুরের ধারে বস্তাবন্দী করে সানির দেহটা সে ফেলেছে। আজ সকালে পুলিশ গিয়ে পুকুরের ধার থেকে সানির মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেখা যায় বস্তার ভেতর একটি বড় প্লাস্টিকের মধ্যে গলার নলি কাটা অবস্থায় সানির দেহটি রাখা ছিল।
সানির মা চম্পা বাগদি জানান সম্পর্কে আত্মীয় নিলু বাগদিদের সাথে তাদের কোনো অশান্তি বা শত্রুতা নেই। তারপরেও কেন তাঁর ছেলেকে এভাবে নৃশংসভাবে খুন করল তা তিনি জানেন না। নিলুর ফাঁসির দাবিও জানান সন্তান হারা চম্পাদেবী।
বিষয়টি নিমেষে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত গ্রামবাসী রোষে ফেটে পড়ে। তাঁরা প্রথমে মৃতদেহ তুলতে বাধা দেয় পুলিশকে। অভিযুক্ত নিলু বাগদিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় গ্রামবাসীদের একাংশ। পরে পুলিশ গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে শান্ত করে সানির মৃতদেহ নিয়ে যায়। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা নিলু বাগদির ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।