অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে টিকটিকি, ক্ষোভ অভিভাবকদের
আমার কথা, দেবনাথ মোদক, খাতড়া, ১২ ডিসেম্বর:
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিঁচুড়িতে টিকটিকি, আতঙ্কে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের।
এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে দেখা গেল সেদ্ধ টিকটিকি! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার খাতড়ার চকবাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও খাতড়ার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। সেই খিচুড়ি নিয়ে বেশ কয়েক জন শিশুর অভিভাবক ও প্রসূতি বাড়িতে চলে যায়। পরে সেই খাবার কয়েক জন খেয়েও নেয়। তার মধ্যে বাড়িতে খাবার নিয়ে যাওয়া এক অভিভাবক লক্ষ্য করেন খাবারে টিকটিকি পড়েছে। ওই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ওই এলাকায় যান খাতড়ার বিডিও দেবজিৎ রায়, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
অভিভাবকদের দাবি, এই ঘটনা নতুন নয়, এর আগে রান্না করা খাবারে নুনের পরিবর্তে সাবান গুঁড়ি দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর অনুনয় বিনয়ে বিষয়টি সেভাবে প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে ওই কর্মীর দায়িত্বহীনতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা দাবি করেন।
সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নমিতা কর বলেন, ৫৭ জন উপভোক্তা এখান থেকে খাবার পান। ‘নুন হলুদ দেওয়ার সময় ছাদের উপর থেকে কোন কারণে টিকটিকি পড়ে থাকতে পারে’। তবে এদিনের রান্না তিনি করেননি, একজন অস্থায়ী কর্মীকে দিয়ে করিয়ে ছিলেন বলে নিজের দায় এড়াতে চান।
ঘটনার খবর শোনার পরই ওই এলাকায় ছুটে যান খাতড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বুলা সেন। প্রধানের দাবী অধিকাংশ অভিভাবক খিঁচুড়ি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই খাবার খাওয়ার আগেই টিকটিকির বিষয়টি সামনে এসে যাওয়ায় এ যাত্রা রক্ষা পেয়েছে অনেকেই।
খাতড়ার বিডিও দেবজিৎ রায় বলেন, কয়েকজন খিঁচুড়ি খেয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।