রানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এবার গ্রেফতার স্থানীয় ‘সোর্স’
আমার কথা, অন্ডাল, ১৬ জুনঃ
রানীগঞ্জের সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় অন্ডাল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শশীকান্ত কুমার মালি। রবিবার দিত ওকে পেশ করা হয় আসানসোল আদালতে।
৯-জুন রবিবার রাণীগঞ্জ বাজারের তার বাংলা এলাকায় একটি নাম করা সোনার দোকানে ঘটে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাদ মন্ডলের সাথে গুলির লড়াই হয় ডাকাত দলের। আই,সি-র ছোঁড়া গুলিতে আহত হয় এক ডাকাত। পুলিশের বাধা পেয়ে ডাকাত দলটি দুটি বাইকে করে চম্পট এলাকা ছেড়ে। যাওয়ার সময় আসানসোলের মহিশীলা কলোনির চক্রবর্তী মোড়ে একটি চার চাকার গাড়ি ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। তারপর দুটি দলে ভাগ হয়ে তারা সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খন্ডের দিকে চলে যায়। দলটির নাগাল পেতে দ্রুত তল্লাশিতে নামে পুলিশ। ঘটনার দিন রবিবার সন্ধ্যা বেলায় ঝাড়খণ্ডের সরিষা থানা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ডাকার দলের সদস্য সুরজ সিং নামে এক দুষ্কৃতিকে। পরের দিন ঝাড়খণ্ডের কৌইদিহি জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার হয় দলটির মূল পান্ডা সোনু সিং। আই,সি ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়েছিল এই সোনু। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ শনিবার রাতে অন্ডালের দক্ষিণখণ্ড পঞ্চায়েতের জয়পুরিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শশীকান্ত কুমার মালি নামে এক যুবককে। পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে শশীকান্ত অন্ডালে বসবাস করলেও আসলে সে বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা ও এই ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সোনুর বন্ধু। কাজোরা মোড়ে শশীকান্তের একটি ফুলের দোকান রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর ডাকাত দলটির লোকাল সোর্স হিসাবে শশীকান্ত জড়িত ছিল। দলটির কয়েকজন সদস্য ডাকাতির ঘটনার আগে অন্ডাল মোড়ের কাছে ১৫ দিন ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল। সে সময় তারা বেশ কয়েকবার সোনার দোকানের আশপাশে রেইকি করে। দুষ্কৃতীদের ঘর ভাড়া দেওয়ার কাজে সাহায্য করেছিল শশীকান্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রবিবার পুলিশ ধৃত শশীকান্তকে পেশ করে আসানসোল আদালত। হেফাজতে নিয়ে শশীকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডাকাতির ঘটনায় আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে তদন্তকারীদের আশা।