লকগেট মেরামতের কাজ শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে গেল, সেচ দপ্তরের ব্যর্থতাকেই দুষলেন ঠিকা সংস্থা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৪নভেম্বরঃ
পাঁচ দিন অতিক্রান্ত অথচ এখনও সঠিকভাবে লক গেট মেরামতের কাজই শুরু করতে পারা গেল না। গতকাল রাতে কাজ শুরু করেও ফের বন্ধ হয়ে গেল লকগেট মেরামতের কাজ। এদিকে প্রতিটা মুহূর্তে জলের হাহাকার সাথে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের মানুষজন, আর দুর্গাপুর ব্যারেজের ভেঙ্গে যাওয়া ৩১নং লকগেট মেরামতের কাজ শুরু করতে না পারার জন্য মূলতঃ সেচ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ব্যর্থ আর তাদের এই ব্যার্থতাকেই দায়ী করলেন লকগেট মেরামতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকা সংস্থার আধিকারিক শ্যামলেন্দু পাল।
শ্যামলেন্দুবাবু জানান, গতকাল সেচ দপ্তর থেকে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল জলে বাঁধ দেওয়া হয়ে গেছে তাঁরা রাতের থেকে কাজ শুরু করতে পারবেন। সেই মতো ওই ঠিকা সংস্থা বাঁধ মেরামতের জন্য সমস্ত সরঞ্জাম নিচে নামিয়ে নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কাজের সময় দেখা গেল জলের বাঁধ ঠিক মতো দেওয়া হয়নি। যেম পরিমানে জল ঢুকছে সেখানে দশটা পাম্প লাগিয়ে জল বের করতে হবে, সেখানে সেচ দপ্তর থেকে ফলে এখনও জল ঢুকছে সেখানে মাত্র দুটো পাম্প লাগিয়ে জল বের করা হচ্ছে। তাই যতক্ষণ না জল আটকানো যাচ্ছে ততক্ষণ মেরামতের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
পাশাপাশি শ্যামলেন্দুবাবু আরো জানান যে, খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করতে না পারলে আরো বড় বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। বাঁধে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে আর আর জলের স্রোতের চাপে এই গর্তের আকারও বড় হচ্ছে। ফলে যে কোনো মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এদিন ঠিকা সংস্থার এই আধিকারিক সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সমালোচনায় মুখর হন। তিনি বলেন দেশ এত উন্নত হয়ে গেছে, সমুদ্রে ব্রিজ বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর সেখানে একটি জলাধারে বাঁধ দিতে পারছেন না এরা। তিনি আরো বলেন সেচ দপ্তরের থেকে সবুজ সংকেত পেলেই তাঁরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে ২০ ঘন্টার মধ্যে কাজ শেষ করে দিতে পারবেন, কারন দ্রুত এই কাজ শেষ করার জন্য যা যা দরকার সবই তাদের কাজে যথেশ্চ মজুত আছে। কিন্তু সেচ দপ্তর থেকে তাদের সাথে কোনো আধিকারিকই কথা বলছেন না বলে অভিযোগ। তাই লকগেট মেরামতের কাজ এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি আর কখন শুরু করা যাবে তা নিয়েও তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা।