পরিত্যক্ত অবৈধ কয়লা খাদানে ১২০ ফুট নিচে পড়ে মৃত্যু ব্যাক্তির
আমার কথা, জামুড়িয়া, ৩ জানুয়ারীঃ
পরিত্যক্ত অবৈধ কয়লাখনির মধ্যে পরে গিয়ে মারা গেলেন এক ব্যাক্তি । মৃতের নাম ভীষম রায়(৪২)। রানীগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই ব্যাক্তি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই কয়লাখনির মধ্যে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ব্যাক্তির বলে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিপর্যয় বোকাবিলার দল। বেশ কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টার পর ওই ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধায় হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানান যায়, কুনুস্তরিয়া এরিয়ার নর্থ সিয়ারসোল খোলামুখ খনির পাশেই পরিত্যক্ত ওই অবৈধ কয়লাখনির মধ্যে শুক্রবার ভোর আনুমানিক ৪-৪.৩০টে নাগাদ ভীষম পড়ে যান। খনিগহবরের গভীরতা প্রায় ১২০ ফুট বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জামুড়িয়া থানার পুলিশ, রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ। দমকল বিভাগ ও বিপর্যয় মোকাবিলার দল। যেহেতু এলাকাটি বেশ বিপজ্জনক ও খনিগহবর খুবই গভীর তাই উদ্ধার কাজে বেশ বেগ পেতে হয়। আর দীর্ঘদিন ধরে এই খনি মুখ বন্ধ থাকায় সেখানে মারণ গ্যাস থাকতে পারে বলেও অনুমান এ মুহূর্তে এলাকায় অসংখ্য মানুষ ওই ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি করেছেন। ঘটনাস্থলে যান রানীগঞ্জের ৩৭ নাম্বার ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা রানীগঞ্জের শহর তৃণমূল ব্লক সভাপতি রুপেশ যাদব, কয়লা খনি শ্রমিক সংগঠনের তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের স্থানীয় নেতৃত্ব লালু মাজি সহ আরো অনেকে। ইসিএল কর্তৃপক্ষ এই খনি মুখ এখনো কেন ভরাট করেনি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে বহু চেষ্টার পর সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ উদ্ধার হয় ভীষম রায়ের নিথর দেহ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।