ন্যায্য মূল্যে বালি সরবরাহের দাবিতে বিডিও কে স্মারকলিপি
আমার কথা, অন্ডাল, ৮ জানুয়ারীঃ
ন্যায্য মূল্যে বালি সরবরাহ করার আর্জি জানিয়ে বিডিওকে স্মারকলিপি দিল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ । দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন বিডিও।
গত এক দেড় বছরে নদীর বালির দাম বেড়েছে আকাশ ছোঁয়া। এক বছর আগে যেখানে ১০০ সিএফটি বালি পাওয়া যেত ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বর্তমানে সেই দাম বেড়ে হয়েছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ট্রাক্টারে করে বালি সরবরাহ বন্ধ হাওয়ায় এলাকায় এখন বালি পাওয়া হয়ে উঠেছে দুষ্কর। দুর্গাপুর ফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অজয়, টুমনি নদী। এইসব নদী থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ বালি উত্তোলন করা হয়। তারপর সেই বালি সরবরাহ করা হয় ভিন জেলা এমনকি ভিন রাজ্যও। স্থানীয়দের বক্তব্য ঘরের পাশে নদী অথচ আমাদেরই বালি কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। স্থানীয়রা যাতে ন্যায্য মূল্যে বালি পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্প্রতি গণস্বাক্ষর করে বিডিওকে স্মারকলিপি দিল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি পলাশ পান্ডে, দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ ব্যানার্জি সহ শাসকদলের আরও অনেকের । পলাশ পান্ডে, সন্দীপ ব্যানার্জীরা বলেন বালির দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের। এই প্রকল্পে পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য উপভোক্তারা পান এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। এর একটা বড় অংশ শুধুমাত্র বালি কিনতে তাদের ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। আগের মত ট্রাক্টারে করে বালি সরবরাহ ও প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় বালির ডিপো করার অনুমতি দিলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তাই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বিডিওকে আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানান তারা। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন যেসব পদক্ষেপের নিতে আবেদন করা হয়েছে তার আইনের দিকটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।