ছেলেধরা সন্দেহে এবার গণ ধোলাইয়ের শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি
আমার কথা, লাউদোহা, ৩০ জুলাই:
ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই এর শিকার হলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে লাউদোহা থানার নবঘনপুর গ্রামে। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে ছেলে ধরার গুজব। সন্দেহবসে গণধোলাই এর ঘটনাও ঘটছে কোথাও কোথাওম বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রচার চললেও তার প্রতিফলন ঘটছে না সেরকম। মঙ্গলবার ফরিদপুর(লাউদোহা) থানার নবঘনপুর গ্রামে ঘটলো এরকমই একটি ঘটনা। ছেলে ধরা সন্দেহে গণধোলাই এর শিকার হলেন কিশন পাহাড়ি (৪০) নামে এক ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এদিন সকাল বেলায় সন্দেহজনকভাবে ওই ব্যক্তি নবঘনপুর গ্রামের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন তাকে দাঁড়াতে বললে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতেই ছেলে ধরা সন্দেহ চেপে বসে স্থানীয়দের মনে। ওই ব্যক্তিকে তাড়া করে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। বিদ্যুতের খুটিতে বেঁধে চলে গণধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে লাউদোহা থানার পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার্স কর্মীরা। তারাই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। কিন্তু উত্তেজিত মারমুখি জনতার হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে। গণধোলাইয়ে আহত হন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পাণ্ডবেশ্বর থানার ছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর এলাকায় বাড়ি ওই ব্যক্তির। আহত কিশন পাহাড়ি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে স্থানীয়রা জানান।