মুসকিল আসান পাশে আছে-“রেড ভলান্টিয়ার্স”
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ১৩মেঃ
দেশে আছড়ে পরেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ । প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান । হাসপাতালে বেড আর অক্সিজেনের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে দেশজুড়ে । এই অস্থির সময়ে আক্রান্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । এদের মধ্যে সামনের সারিতে রয়েছে ”রেড ভলেন্টিয়ার্স”- নামে সংগঠন । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সংগঠনের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে অন্ডাল এলাকায় করোনা যুদ্ধে । আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা, এলাকা জীবাণুমুক্ত করা, খাবার, ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ সব পরিসেবা দেওয়া হচ্ছে সংস্থার পক্ষথেকে । সিপিএম পার্টির যুব সংগঠনের সদস্যরা মূলত এই সংগঠনের সাথে যুক্ত । তবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান সংগঠনের পক্ষে শোভন পাল । তিনি জানান সম্প্রতি নির্বাচন শেষ হয়েছে , তবে ঘরে বসে থাকার সময় এটা নয় । অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় বামেদের আদর্শ । আমরা শুধুমাত্র সেই কাজটাই করছি । তিনি জানান অন্ডাল ব্লকের ৮ টি পঞ্চায়েত এলাকায় সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে 60 / 70 জনের একটি দল তৈরি করা হয়েছে । স্বাস্থ্যবিধি মেনে আক্রান্তদের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন । সাহায্যের আবেদন এলে সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকায় পৌঁছে যায় সংগঠনের একটি দল । কাজ শুরু করি নিজেরাই চাঁদা তুলে । এখন অবশ্য আর্থিক সাহায্য দিতে অনেকেই এগিয়ে আসছে । ফলে সবার সহযোগিতায় বড় পরিসরে কাজ করা সহজ হচ্ছে । শোভন বাবু জানান প্রতিদিন সাহায্যের আবেদন চেয়ে সদস্যদের কাছে দশ-বারোটা করে ফোন কল আসে । যার যা প্রয়োজন সেই সাহায্য আমরা পৌঁছে দিয়ে আসি । তিনি জানান ইতিমধ্যে 50 / 60 জনকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে ।বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্তদের বাড়ি ও এলাকা স্যানিটাইজ যেমন করা হয়েছে তেমনি অনেকের জন্য অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা ও করেছে সংস্থা । অন্ডালের বাসকা রোডের বাসিন্দা জয়দেব সেনগুপ্ত থানা রোডের মিন্টু তেওয়ারি, কুলডাঙ্গার জয়দীপ রায়, অন্ডাল সাউথ কলোনির ওম যাদব, অরবিন্দ নগরের পিন্টু দাস-রা জানান ”রেড ভলেন্টিয়ার্স”- এর কাছে প্রয়োজনে সাহায্য চেয়ে পেয়েছি । সংস্থার সহযোগিতায় আমরা কৃতজ্ঞ । সংস্থার কাজের প্রশংসা করেন অন্ডালের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস । তিনি বলেন অতিমারি-র সময় এলাকার বেশ কয়েকটি সংগঠন ও সংস্থা স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে । আশা করি এদের দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে । কারণ এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ভীষণ প্রয়োজন ।