বিধায়কের দেহরক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যু, খুন হয়েছে আশঙ্কা পরিবারের
আমার কথা, দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়া, ৩ ফেব্রুয়ারী:
কলকাতার এম এল এ হস্টেল থেকে তৃণমূল বিধায়কের দেহরক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার সিমলাপাল এলাকায়। মৃতের নাম জয়দেব গড়াই (৩৪)। বাড়ি সিমলাপাল থানা এলাকার মাচাতোড়া অঞ্চলের বাঁশি গ্রামে। সূত্রের খবর, শনিবার সাত সকালেই পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক রাজীবলোচন সরেনের নিরাপত্তা রক্ষী জয়দেব গরাইয়ের মৃতদেহ কলকাতার এম এল এ হেস্টেলের ৪১৯ নং ব্যালকনির নিচে মাটিতে উবুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় থানার পুলিশ। পাশাপাশি আছেন ফরেনসিক টিমের বিশেষজ্ঞরা। পরে পুলিশের তরফে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিন দুপুরে মৃত নিরাপত্তারক্ষী জয়দেব গড়াইয়ের সিমলাপালের বাঁশি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল পুরো গ্রাম জুড়ে শোকের আবহাওয়া। আর কয়েকদিন পরেই তার ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসার কথা ছিল তার আগেই সব শেষ। বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার মানুষজন।
মৃত ওই নিরাপত্তারক্ষীর পরিবার সূত্রে খবর, ২০১২ সালে রাজ্য পুলিশে যোগদান করেন জয়দেব গড়াই। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব লোচন সরেনের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন। বাড়িতে মা, স্ত্রী, আট বছরের এক ছেলে সহ কাকা-কাকিমারা রয়েছেন। এমএলএ হোস্টেল একটি হাই সিকিউরিটি জোন। সেখানে কিভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মৃত জয়দেব গড়াইয়ের পরিবারের লোকজন।তার কাকিমা রিনা গড়াই খুড়তুতো বোন ঋতু গরাই বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে দাদা পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছে। এই কথা আমরা বিশ্বাস করিনা, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হোক বলে তিনি জানান।