উখরায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আটক স্বামী, খুনের অভিযোগ পরিবারের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ২৯জুলাইঃ
এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো অন্ডাল থানার সৌমন্ডলপাড়ায়। মৃতের নাম চুমকি দাস(২৮০। গৃহবধূর স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ২০১১ সালে উখরার সৌমন্ডলপাড়ার বাসিন্দা গোপীনাথ দাসের সাথে বিয়ে হয় পান্ডবেশ্বরের কেন্দ্রা পঞ্চায়েতের রাননগরের বাসিন্দা চুমকির। চুমকির বাবার বাড়ির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়ে ও জামাইয়ের মধ্যে অসান্তি লেগেই থাকত। শুধু তাই নয় মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করত তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের লোকজন।
মৃতের বাবা তপন দাস জানান গতকাল অর্থাৎ “মঙ্গলবার রাত দশতা নাগাদ জামাই ফোনে জানান যে তাঁর মেয়ে বিষ খেয়ে নিয়েছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শুনি মেয়েকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়ের মৃতদেহ পরে রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক জানান যে মেয়েকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” চুমকিকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন গৃহবধূর বাবা।
অপরদিকে গৃহবধূর স্বামী গোপীনাথ জানান যে চুমকিদেবী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, আর সেই কারনে সে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। তবে মৃতার স্বামীকে আটক করেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।