ভিন দেশে রহস্যজনক মৃত্যু দুর্গাপুরের গবেষক ছাত্রীর
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৫ অক্টোবর:
সুদূর সুইডেনে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল গবেষক ছাত্রী দুর্গাপুরের মেয়ে রোশনি দাসের। দোষীর শাস্তি ও মেয়ের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানালো পরিবার।
যুদ্ধের কারণে ইজরায়েলে আটকে রয়েছে দুর্গাপুরের মেয়ে মনশ্রী চট্টোপাধ্যায়। ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ের জন্য যখন উদ্বেগে রয়েছে তার পরিবার, ঠিক তখনই দুর্গাপুরের বাসিন্দা আরেক ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ের পরিবারে পৌঁছালো দুঃসংবাদ। সেই দুঃসংবাদ এল সুদূর সুইডেন থেকে। পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য সুইডেনে থাকতেন দুর্গাপুরের ডিপিএল টাউনশিপ এর ই এন টাইপের বাসিন্দা রোশনি দাস (৩৫)। পোস্ট ডক্টরেট পড়াশুনা করছিলেন সেখানকার উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ সুইডেন দূতাবাস থেকে রোশনির মৃত্যু সংবাদ জানানো হয় তার পরিবারকে। জানানো হয় যে অ্যাপার্টমেন্টে রোশনি থাকতেন সেই অ্যাপার্টমেন্টের বন্ধ ঘর থেকেই রোশনির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
মৃত ছাত্রীর মা মমতা দাস জানান নিউরো বিষয়ে পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য রোশনি ২০১৮ সালে সুইডেনে যায়। সেখানকার উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সে পড়াশুনার পাশাপাশি ও গবেষণার কাজে যুক্ত ছিল। মেয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। মমতা দেবী জানান চলতি মাসের ২৯ তারিখ শেষবার রোশনির সাথে ফোনে কথা হয়। কিছু টাকা পাঠানোর কথাও জানিয়েছিল রোশনি। তারপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রোশনির ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায় তারপর থেকে। ১৩ তারিখ সুইডেন দূতাবাস ভারতীয় দূতাবাসকে রোশনির মৃত্যু সংবাদ জানায়। সেই দুঃসংবাদ পৌঁছায় দুর্গাপুরে রোশনির বাড়িতে। এদিন রবিবার মৃত ছাত্রীর মা মমতা দেবী জানান দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে ১২ তারিখ যে অ্যাপার্টমেন্টে রোশনি থাকতো সেই অ্যাপার্টমেন্টের ঘর থেকেই তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সেখানকার এক বাসিন্দাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে তাদের জানানো হয়েছে। রোশনিকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অনুমান। দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তি ও রোশনির মৃতদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানান তার মা মমতা দেবী। ভিনদেশে ঘরের মেয়ের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।