বিয়ে দেড় মাসের মধ্যে দুর্গাপুরে নব বধূর রহস্য মৃত্যু
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৭জুনঃ
এক নব গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। গৃহবধূর স্বামী ও শশুড়কে আটক করেছে পুলিশ। গৃহবধূর বাবার বাড়ির পরিবারের দাবি এটি খুন।
জানা গিয়েছে, বিহারের কাঁকো এলাকার বাসিন্দা শিম্পি কুমারী(১৯) এর সাথে মাস দেড়েক আগে বিয়ে হয় দুর্গাপুরের বি-জোনের এডিসন রোডের বাসিন্দা সত্যজিৎ প্রসাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে বাবার বাড়িতেই ছিল সিম্পি। দিন নয়েক আগে সে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাবড়িতে আসে। এরপরেই রবিবার অর্থাৎ গতকাল দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। সিম্পির শ্বসুরবাবড়ির পরিবারের দাবি সে আত্মহত্যা করেছে কিন্তু সিম্পির বাবার বাড়ির পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে।
সিল্পির শ্বশুর বাড়ির পরিবারের অভিযোগ বিয়ের পর থেকে সিম্পি বাবার বাড়িতেই থাকছিল। তাঁর সংসার করাতেও আপত্তি ছিল। মাত্র নয়দিন আগে শ্বশুর বাড়ি ফেরে। কিন্তু তারপরেও অশান্তি লেগেই ছিল। রবিবার দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর সে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়।
অপরদিকে, সিম্পির বাবার বাড়ির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সিম্পির শ্বশুরবাড়িতে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকতো সেই কারনে সে বাব্বার বাড়িতেই থাকছিল। নয়দিন আগে সে দুর্গাপুরে শ্বশুরবাড়িতে ফেরে। বাবার বাড়ি থেকে যাতে শিম্পি চারচাকা গাড়ি আনে তাঁর জন্য তাঁকে রোজ চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গতকাল দুপুরে সিম্পির শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদের কাছে ফোন আসে যে, তাদের মেয়ে গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা দুর্গাপুরে এসে যা দেখলাম তাতে আমরা নিশ্চিত শিম্পি আত্মহত্যা করেনি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। কারন শিম্পির সারা শরীর মারধরের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার লিখিত অভিযোগ গৃহবধূর বাবার বাড়ির পরিবারের তরফে থানায় দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহব্ধূর স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে। পাশাপাশি গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এটি আত্মহত্যা নাকি খুন তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।