বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেই বন্ধুত্বে ফাটল! তাই খুন করা হল অনিলকে?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১০ জানুয়ারি:
অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু ছিল আকাশ। অনিলের সাথে আকাশের বন্ধুত্ব এতটাই গাঢ় ছিল যে অনিল নিজের হাতে আকাশের নামের উল্কি করিয়েছিল। কিন্তু যেদিন অনিলের বিয়ের কথা জানতে পারে আকাশ সেদিন থেকে মনোমালিন্য শুরু দুজনের। অশান্তি এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেছিল যে অনিলের স্মার্টফোনও ভেঙ্গে দিয়েছিল আকাশ। এমনটাই জানালেন মৃত অনিলের মা সীতা ভুঁইয়া। যে মেয়েটির সাথে অনিলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনিলের আর তা নিয়ে আকাশের সাথে বেশ কয়েকবার অশান্তিও হয়েছিল। তাছাড়া বিয়েতে হয়ে গেলে বন্ধু দূরে সরে যাবে যা মেনে নেওয়া আকাশের পক্ষে সম্ভব ছিল না আর এই আশঙ্কা থেকেই কি তাহলে অনিলকে খুন করলো আকাশ? যদিও এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আকাশকে দরকার, যদিও ঘটনার পরেই পালিয়ে যায় আকাশ। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেই অন্ডালের বহুলা গ্রামে দিদির বাড়িতে আআত্মগোপন করেছিল আকাশ। সেখান থেকেই রাতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত: দুর্গাপুরের নাচনের ড্যাম পাড়ার বাসিন্দা অনিল ভুঁইয়াকে আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সন্ধ্যেবেলা ওই এলাকার পাথর খাদান এলাকায় একটি জঙ্গল থেকে তাঁকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অনিলের গলায় কালো রঙের একটি কাপড়ের ফাঁস লাগানো ছিল যা থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
এদিকে, অনিলের মা, জামাইবাবু জানান, ওই এলাকায় পাথর খাদানে কাজ করতো অনিল। প্রতিদিনের মতো আজও যখন সে কাজে বের হচ্ছিল তখন আকাশ এসে অনিলকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি অনিল। এদিকে পুলিশের কাছে আকাশ জেরায় জানায় যে গতকাল অনিলকে সে বাড়ি থেকে ডেক্র নিয়ে যায় খাদান এলাকায়। সেখানে তাকে নেশা করিয়ে হাত পা বেধে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে।
অনিলের পরিবার জানায়, এক সময় অনিল আর আকাশের মধ্যে খুবই বন্ধুত্ব ছিল। সাম্প্রতিকালে অনিলের বিয়ে ঠিক হয়। অনিলের বিয়ের বিষয়টি আকাশ মেনে নিতে পারেনি। এই বিয়ে না করার জন্য সে অনিলকে মানাও করেছিল। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তিও হয়েছিল। এরপর বুধবার সকালে অনিল আকাশের সাথে বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ অনিলের পরিবারের বয়ান অনুযায়ী আকাশের সাথেই শেষ দেখা গিয়েছিল অনিলকে। তার থেকেই অনিলের পরিবার ও পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে আকাশের উপর