ফুটবল মাঠ থাকবে কাদের দখলে তা নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুরের নডিহা ও বড়জোড়ার মানা, আহত বেশ কয়েজন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৫আগটঃ
অশান্তি চলছিলই কিন্তু আজ স্বাধীনতা দিবসের দিন তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গেল আর সেই অশান্তিকে সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয় বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান এই দুই জেলার পুলিশ আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশবাহিনীকে।
অশান্তির কারন একটি খেলার ফুটবল মাঠকে কেন্দ্র করে, আর তা নিয়ে এদিন রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত নডিহা ও বড়জোড়া থানার মানা এলাকা। সংঘর্ষে আহত হয়েছে দুপক্ষের ১৫-১৬ জনের মতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় দুই জেলার বিশাল পুলিশবাহিনী সহ কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফ।
নডিহা গ্রাম ও মানা এলাকার মাঝামাঝি অবস্থিত এই মাঠে নডিহা গ্রামের ছেলেরা বহুদিন যাবত খেলাধূলা করছে বলে দাবি করেন নডিহার বাসিন্দারা। নডিহা গ্রামের বাসিন্দাদের অনুমতি নিয়ে মানার ছেলেরাও ওই মাঠে খেলাধূলা করছিল এতদিন। এতদিন যাবত সব ঠিকই ছিল, কিন্তু ওই মাঠে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে কিছু সরকারী প্রকল্প যেমন হেলথ সেন্টার, কমিউনিটি হল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে কারনে আপাতত ওই মাঠে খেলাধূলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু এবার এই মাঠকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে সমস্যা।
ঘটনার সুত্রপাত, আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ওই মাঠে নডিহার যুবকরা ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কিন্তু অভিযোগ বড়জোড়া পুলিশের সামনেই তাদের উপর চড়াও হয় মানার কিছু যুবক। তারপরেই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। মানা এলাকার কিছু বাড়িতে নডিহার যুবকেরা ইট, পাথর ছুঁড়ে ভাঙ্গচুর চালায় বলেও অভিযোগ ওঠে। কম বেশি জখম হয় দুপক্ষেরই। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি(কাঁকসা) শ্বাশতী শ্বেতা সামন্ত। পৌঁছন চার নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়। তিনি দুই জেলার পুলিশের সাথে কথা বলেন। এরপর তিনি জানান যে, “নডিহা এলাকার মানুষজন দীর্ঘদিন যাবত এই মাঠটি ব্যবহার করছেন। তবে বর্তমানে এই মাঠটিতে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু সরকারী প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সাথে আমি কথাও বলেছি। আপাতত ওই মাঠের ব্যবহার বন্ধ থাকবে।”