লটারিতে নাম এলেও ১৪ বছরে মেলেনি জমি, এডিডিএতে বিক্ষোভ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২ জানুয়ারীঃ
লটারির মাধ্যমে জমির মালিকানা পেলেও, ১৪ বছরেও সেই জমি হাতে পেলেন না তাঁরা, আর তাই প্রতিবাদে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের সামনে ধর্ণায় বসলেন দুর্গাপুর উর্বশী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বিষয়টি সহমর্মিতার সাথে দেখা হবে বলে জানানো হয় এডিডিএ এর পক্ষ থেকে।
২০১০ সালে দুর্গাপুরে কো-অপারেটিভে হাউসিং এর মাধ্যমে জমি বন্টনের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের কর্মকর্তারা। লটারির মধ্যমে জমি বন্টনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় এডিডিএ এর শর্ত ছিল কো-অপারেটিভ হাউসিং গুলি ২০০০ টাকার রেজিস্ট্রেশন চার্জ ও জমির মূল্যের দশ শতাংশ টাকা জমা করেন। সেইসময়ের লটারির মাধ্যমে ৪৯ টি প্রস্তাবিত হাউসিং কোঅপারেটিভ নির্বাচিত হয়। প্রায় দেড় হাজার সদস্য এই জমি বন্টনের বেড়া জালে ফেঁসে গেছেন বলে জানান সদস্যরা। পরবর্তীতে এডিডিএ -র নিয়মের জালে পরে অন্য কোন জায়গায় জমি কিনতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন কোঅপারেটিভ সোসাইটির সদস্যরা বলে অভিযোগ।
অ্যাসোসিয়েশনের এর পক্ষ থেকে জগবন্ধু মজুমদার জানালেন ২০১০ সালে আমরা দরখাস্ত করেছিলাম এবং কুড়ি হাজার টাকা করে জমাও দিয়েছিলাম। সৃজনী হলে লটারি হওয়া মোট আমরা দেড় হাজার জন সিলেক্ট হয়েছিলাম। আমরা দুর্গাপুর কোর্টে গেলাম, দুর্গাপুর কোর্ট থেকে বর্ধমান তারপর আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলাম। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা মামলা করেছে, বলেছে আমাদের না জানিয়ে লটারি করা হয়েছে। আপনারা আসেন নি, তাই আমরা লটারি করে দিয়েছি। আমরা তখন চাকরি করতাম, প্রাইমারি স্কুলের টিচার হাই স্কুলের টিচার ক্লার্ক সংখ্যালঘু এরা সবাই লটারি মাধ্যমে সিলেক্ট হয়েছে। এরা কারোই কথা শুনছে না টালবাহানা করছে অথচ ভেতরে ভেতরে জমি বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রতারিত হয়েছি। আমরা মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে বিষয়টা জানিয়েছিলাম, মন্ত্রী মশাই বলেছেন ব্যাপারটা যদি নিয়ম মত হয় তাহলে জমি নিশ্চয়ই পাবেন। আমরা ন্যায্য দাবি করছি, আমরা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে আমরা দ্বারস্থ হয়েছিলাম কিন্তু আমাদের কোন কথা শুনতে চান না, অনেকদিন ধরে টালবাহানা চলছে তাই আমরা আজ ধর্ণায় বসেছি।
অপরদিকে, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, “বিষয়টি এই মুহূর্তে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে, তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে অবশ্যই এটি সহমর্মিতার সাথে দেখা হবে”।