দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নয়া সংযোজন, খোলা হল অত্যাধুনিক ট্রমা কেয়ার সেন্টার
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৪ জুলাইঃ
দুর্গাপুরের সরকারী হাসপাতালের মুকুটে নয়া পালক। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে খোলা হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ট্রমা কেয়ার সেন্টার। রবিবার এই ইউনিটটির উদ্বোধন হয়। জেলাশাসকের সি.এস.আর প্রকল্প থেকে মোট ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হল এটি তৈরি করতে।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের খুব কাছ দিয়ে চলে গিয়েছে ১৯ নং জাতীয় সড়ক। আর এই জাতীয় সড়কে নিত্যদিন লেগেই রয়েছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় জখম ব্যাক্তিদের আরো উন্নত পরিষেবা দিতেইই এই ইউনিটটি চালু করা হল। এদিনের উদবোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ কীর্তি আজাদ, হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত প্রমূখ।
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “সরকারী হাসপাতাল তো কারোর একার সম্পত্তি নয়। সরকার সবার আর তাই সকলের কথা চিন্তা করেই হাসপাতালের উন্নতির চেষ্টা চলছে। সাধারন মানুষ যতে উন্নত পরিষেবা পান তার চেষ্টাই করছে সকলে।”
মহকুমা শাসক বলেন, “দুর্গাপুরের পাশ দিয়ে চলে গেছে জাতীয় সড়ক। দুর্ঘটনার কবলে পরে বহু মানুষ আসেন এই হাসপাতালে। দিনে গরে ১৫-২০ টি এরকম কেস আসে এই হাসপাতালে। তাঁদের যাতে ভালো করে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় সেই চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ।”
হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মন্ডল বলেন, “অপারেশন থিয়েটার আমাদের তো আছেই। তাত সারাদিনে অনেক চাপ থাকে। তাই আধুক প্রযুক্তি সম্পন্ন এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারটি খোলা হল আলাদা করে একটি রুমে। তাতে অপেরেশন থিয়েটারের চাপ একটু কমবে।”
দুর্গাপুরের এই সরকারী হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টার খোলার দরুন বেশ খুশি শিল্পাঞ্চলবাসী। দুর্গাপুরের যে সব বেসরকারী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অনেক টাকা খরচ করে পরিষেবা নিতে হতো সেই পরিষেবাই এবার আরো কম খরচে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন শহরবাসী।