করোনা আবহে পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন খাতে ফিজ কমিয়ে নজির গড়ল এন আই টি দুর্গাপুর
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৬সেপ্টেম্বরঃ
করোনা আবহে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ফি বৃদ্ধির অভিযোগে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। সেখানে মানবিক মুখ দেখা গেল এন আই টির দুর্গাপুর শাখা কর্তৃপক্ষের। কলেজের বিভিন্ন খাতে ফিজ বৃদ্ধির বদলে তাঁরা কমিয়ে দিলেন টাকার পরিমান। যেমন, কম্পিউটিং চার্জ যেখানে ছিল ১০০০টাকা সেখানে তা কমিয়ে করা হল ৭৫০ টাকা। তেমনই স্টুডেন্ট অ্যাক্টিভিটি চার্জ ৯৫০টাকার জায়গায় করা হয়েছে ২০০টাকা, সিট রেন্ট ১৮০০টাকার বদলে করা হয়েছে ১০০০টাকা, মেন্টেন্যান্স ও ডেভলপমেন্ট চার্জ ১২০০টাকার জায়গায় কমিয়ে করা হয়েছে ৫০০টাকা। এরকম আরো বিভিন্ন খাতে ফিজ কমিয়ে দেওয়ায় খুশি অভিভাবকরা।
প্রসঙ্গতঃ করোনার অতিমারির সময়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলিতে টিউশন ফিজ সহ আরো বিভিন্ন খাতে ফিজ বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরদ্ধে। অভিভাবকদের অভিযোগ যে, করোনা আবহে লকডাউনের দরুন অভিভাবকদের অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন আবার অনেক অভিভাবক আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে চলছেন। সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ মানবিকতা দেখানোর বদলে তাদের প্রতি অমানবিক হচ্ছেন। তাদের আরো অভিযোগ যে, তাঁরা টিউশন ফিজ দিতে রাজী আছেন কিন্তু করোনার কারনে এখন স্কুল বন্ধ, অনলাইনে চলছে পড়াশুনা। অথচ এমন কিছু খাতে ফিজ চাওয়া হচ্ছে যা স্কুল বন্ধ থাকার কারনে সেই পরিষেবা স্কুল কর্তৃপক্ষকে দিতেই হচ্ছে না। তাহলে কেন সেই খাতে ফিজ দিতে হবে অভিভাবকদের? এ নিয়ে তাঁরা নানা সময়ে নানা ভাবে আন্দোলন করলেও অনড় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাই ওই সমস্ত স্কুলের অভিভাবকরা বলেন যে এন আই টি দুর্গাপুরের মতো একটি সংস্থা যদি এই পেন্ডামিক সময়ে অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াতে পারেন সহমর্মী হয়ে, তাহলে এই বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষরা কেন সহমর্মিতা দেখাতে পারবেন না?