লকডাউনে কোনো আপস নয়, সীমান্তে আরো কড়া নাকা চেকিং দুর্গাপুর পুলিশের

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২১এপ্রিলঃ
রাজ্যের ৪টি জেলাকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যে, সাথে কমলা জোন ঘোষিত হয়েছে ৭টি জেলা যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান। ফলে এই জেলার প্রশাসনের এখন মূল লক্ষ্য কমলা থেকে জেলাকে সবুজ জোনে নিয়ে যাওয়া। তার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে এক কদম এগিয়ে এবার আরো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত দুর্গাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে। দুর্গাপুর শহরে প্রবেশের যে যে সীমান্ত এলাকাগুলি রয়েছে সেখানে বাড়ানো হল নজরদারি। আরো কড়াভাবে নাকা চেকিং বাড়িয়ে দেওয়া হল জেলার সীমানাগুলিতে। অত্যাবশ্যকীয় পন্য পরিবহনের গাড়ি সহ কেউ যদি চিকিৎসার জন্য এই শহরে আসতে চাইছেন তাহলে চিকিৎসা সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র ভাল করে পরীক্ষা করে তবেই তাদের এই শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যারা জরুরী পরিষেবা দেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এই শহরে বা এই শহর থেকে পার্শ্ববর্তী জেলায় যাতায়াত করছেন তাদের ক্ষেত্রেও নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে। এর বাইরে সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে এই শহরে ঢোকার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না পুলিশের তরফে।
করোনার সংক্রমন এড়াতে রাজ্যে চলছে লকডাউন। এরপরেও রাজ্যে ক্রমশ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রাজ্যবাসীকে ঘরের ভেতরে থাকার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার আবেদন সত্বেও বেশ কিছু অতি উৎসাহী মানুষ লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ পেতে দুর্গাপুর পুলিশের তরফে মূলতঃ অন্য জেলার সাথে সংযোগকারী চারটি সীমানায় নাকা চেকিংয়ে নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া যাওয়ার পথে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর কোকওভেন থানার পুলিশের যে নাকাচেকিং রয়েছে সেখানে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বীরভূমের সাথে সংযোগকারী ইলামবাজার রোডের উপর কাঁকসা থানার পুলিশের তরফে। অপরদিকে পান্ডবেশ্বরের দিক থেকে বীরভূম জেলায় যাওয়ার পথে অজয় নদের উপর পান্ডবেশ্বর থানার পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এছাড়াও বুদবুদ থানার পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় যাতায়াতকারী সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন যে, করোনার সংক্রমণ এড়ানোর জন্য আমরা পুলিশরা সদা তৎপর। নানাভাবে মানুষজনকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে লকডাউনের নিয়ম ভাঙবেন না, এতে আপয়ান্দেরই ক্ষতি। অনেকেই তা মানছেন আবার অনেকে বেপরোয়াভবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি সীমান্ত পেরিয়ে অন্য জেলাতেও চলে যাচ্ছে। তাই অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য সহ জরুরী পরিষেবার সাথে যারা যুক্ত তাদের বাদে অন্য কারুর ক্ষেত্রে আমরা রেয়াত করব না। তাই স?ঈমান্তে আমরা নজরদারি আরো বাড়িয়ে দিয়েছি।