দালালরাজ রুখতে এবার দমকল বিভাগ থেকে ত্রিশ দিনেই মিলবে অনুমতি
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৩০ জানুয়ারি:
শিল্পনগরী দুর্গাপুরে দিন দিন কলকারখানার চিমনির থেকেই মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বহুতল আবাসন। বর্তমানে এই শহরে প্রমোটারদের রাজত্ব চলছে। নানা প্রান্তে প্রচুর বহুতল আবাসন গড়ে উঠছে। শুধু বহুতল আবাসন নয়, শপিং মল, কারখানা তৈরীর ক্ষেত্রে দমকল বিভাগের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু এই অনুমতি পেতে বেশ সময় সাপেক্ষের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় প্রমোটারদের জন্য। তাই বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় হয় আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেআইনি উপায়ে বহুতলগুলি তৈরী হচ্ছে আবার বহু ক্ষেত্রে দালালদের মধ্যস্থতায় দমকল বিভাগের একাংশ অসাধু আধিকারিকের হস্তক্ষেপে মোটা টাকার বিনিময়ে সেই অনুমতি বের করে নিচ্ছে প্রমোটাররা। এই অনৈতিক কাজকর্ম আটকাতে এবার বড় পদক্ষেপ নিলো রাজ্য দমকল বিভাগ। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে অগ্নি নির্বাপণ দপ্তর পরিদর্শনে আসেন রাজ্য দমকল বিভাগের ডিজি সঞ্জয় মুখার্জি। তিনি জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তাঁর নেতৃত্বেএকটি টিইসি(টেকনিক্যাল এক্সপার্ট কমিটি) নামে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে যা, শিলিগুড়ি, কলকাতা, মেদিনীপুর ও দুর্গাপুর এই চারটি শহরে সপ্তাহে একদিন করে তাঁরা বসবেন যাতে দমকল বিভাগে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে পারা যায়। যাতে হয়রানি আটকাতে সরকারি নয়া নিয়ম অনুসারে ত্রিশ দিনের মধ্যেই অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়ে নিষ্পত্তি মেলে। কোনো সমস্যা থাকলে দমকল বিভাগের আধিকারিকদের কাছে সরাসরি সেই সমস্যার কথা জানাতে পারেন। এছাড়াও তিনি আরো জানান, তাড়াতাড়ি আগুন নির্বাপনের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কোনো বহুতলে আগুন লাগলে যাতে সেই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে তার জন্য ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে। ড্রোন যেখানে ব্যর্থ হবে সেখানে রোবটের সাহায্য নেওয়া হবে। শুধু তাই নয় সরু গলিতে যেখানে দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হবে সেখানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র লাগানো বিশেষ বাইক পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বহুতল আবাসন গুলি তৈরির সময় আবাসনের ভেতরেই আগুন নেভানোর জন্য যাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে তার দিকে কড়া নজর রাখা হবে।