কোভিড হাসপাতালে আপত্তি, পান্ডবেশ্বরে বিক্ষোভ আদিবাসীদের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ১৫মেঃ
এলাকায় করোনা হাসপাতাল করা যাবে না, হাসপাতাল হলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এলাকায়। শনিবার পান্ডবেশ্বরের ইসিএল সংস্থার পন্থনগর হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখালো স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। পরে বিডিওর আশ্বাসে ওঠে বিক্ষোভ।
দেশে আছড়ে পড়েছে করানোর দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিদিনই রেকর্ড করছে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে বিনা চিকিৎসায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন আরো হাসপাতালের, যেখানে চিকিৎসা পাবে করোনা আক্রান্তরা। তাই বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টার পাশাপাশি নতুন অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল করারও চেষ্ট করছে প্রশাসন।
পান্ডবেশ্বরের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ইসিএলের পন্থনগর হাসপাতালটি কে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন সংস্থার কাছে। ২০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল করার সবুজ সঙ্কেত সম্প্রতি মিলেছে সংস্থার কাছ থেকে।
উল্লেখ্য ইসিএলের পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার পন্থনগর এরিয়া হসপিটালিটি – তে আউটডোর চালু থাকলেও ৫/৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ইনডোর। তাই বন্ধ থাকা ইনডোরের পরিকাঠামো তৈরি করে কোভিড হাসপাতাল চালু করার সবুজ সংকেত সংস্থা দিয়েছে বলে খবর। খবরটি চাউর হতেই শনিবার সকাল দশটা নাগাদ হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত হয় স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। কোভিড হাসপাতাল করা চলবে না এই দাবিতে তারা হাসপাতাল চত্বরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ কোভিড হাসপাতাল হলে এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কোভিড হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে বলে দাবি জানান তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ ও বিডিও অভিষেক মিশ্র। অভিষেক বাবু বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন। ঘন্টা দুয়েক পর বিক্ষোভ উঠে যায়।
পরে অভিষেক বাবু জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করবেন তিনি। এদিকে এই বিক্ষোভের পেছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা। বলেন আদিবাসীদের ভুল বুঝানো হয়েছে। বলেন হাসপাতাল হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভুল ধারণা ছড়ানো হয়েছে তাদের মধ্যে। আজকের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তিনি কোনো উত্তর না দেওয়ায় তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।