উচ্ছেদ অভিযানের বলি, দুর্গাপুর টাউনশিপে দুর্ঘটনায় মৃত্যু দখলদারের
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৭ আগস্টঃ
শহর দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। কখনো রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পক্ষ থেকে আবার কখনও আসানসোল উন্নয়ণ পর্ষদের পক্ষ থেকে। কোথাও দখলদাররা নিজেরাই সরে যাচ্ছেন তো আবার কোথাও কর্তৃপক্ষ বুলডোজার চালিয়ে ভেঙ্গে ফেলছেন পরিকাঠামো। এই পর্যন্ত্য ঠিক ঠাক চলছিল। কিন্তু এবার এই উচ্ছেদ অভিযান প্রাণ কেড়ে নিলো এক ব্যাক্তির। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে। ধোবিঘাটের বাসিন্দা সমীর চক্রবর্তী(৪৬) এ জোনের অশোক এভিনুয়ের খোলা মার্কেটে বিগত ২৫ বছর ধরে চায়ের গুমটি দোকান চালান। এই দোকান থেকেই তিনি সংসার প্রতিপালন করতেন। পরিবারে তিনি একাই আয় করতেন। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পক্ষ থেকে ওই এলাকায় দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয় জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই মানসিক টানাপোড়েনে ভুগছিলেন সমীরবাবু বলে পরিবার জানান। গতকাল সারা রাত তিনি ঠিক করে ঘূমোতে পারেননি। আজ মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ছোট ছেলেকে সাথে করে যান দোকান সরানোর জন্য। আচমকাই দোকানের দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ে সমীরবাবুর উপর। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। বিষয়টি জানার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সমীর চক্রবর্তীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার অন্যান্য তৃণমুলের কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে সমীরবাবুর পরিবারের সাথে দুর্গাপুর থানায় গিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, “বিষয়টি জানার পরেই জেলা সভাপতি দলের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা সাহায্যের আশ্বাস দেন।”