“দামোদরে শরীর বিসর্জন দিতে যাচ্ছি” ছেলের কাছে বাবার ফোনের পরেই দুর্গাপুরে জলে ভেসে উঠল বৃদ্ধের মৃতদেহ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৫এপ্রিলঃ
দুর্গাপুরে দামোদর নদ থেকে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম গোবিন্দচন্দ্র ঘোষ(৭৩)। অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মৃত ওই ব্যাক্তি দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর সি-জোনের বাসিন্দা ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারনে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
গোবিন্দবাবুর বড় ছেলে অমিত ঘোষ জানান, বিগত ছ’মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন গোবিন্দবাবু। বহু চিকিৎসক দেখিয়েও কিছুতেই সুস্থ হচ্ছিলেন না। তবে শেষ যে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তাতে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেও মানসিকভাবে তিনি ভেঙ্গে পরেছিলেন। আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে ঘুরে আসছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান গোবিন্দবাবু। বেশ কিছু সময় পর গোবিন্দবাবুর একটি ফোন যায় তাঁর ছেলের কাছে। তাতে তিনি জানান যে, তিনি আর সুস্থ হবেন না তাই তিনি দামোদরের জলে নিজের শরীর বিসর্জন দিতে যাচ্ছেন। ফোন পাওয়ার পরেই গোবিন্দবাবুর হতভম্ব দুই ছেলে বাবার খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর দুর্গাপুর ব্যারেজে পৌঁছে দেখেন ব্যারেজের ঘাটে তাদের বাবার জামা কাপড় সহ আধার কার্ড সব পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বড়জোড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঘোষ পরিবারে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে গোবিন্দবাবুর ছেলেদের প্রাথমিক ধারনা মানসিক অবসাদের কারনেই তাদের বাবা আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে এটি আদৌ আত্মহত্যা, নাকি দুর্ঘটনা নাকি মৃত্যুর পেছনে আরো অন্য কোনো কারন রয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।