ব্যাঙ্গালুরু থেকে ফেরা স্থানীয়রা জোর করে নেমে গেলেন দুর্গাপুর স্টেশনে, বাঁধল বিতর্ক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৪মেঃ
ভিন রাজ্যে আটকে পড়া এই রাজ্যের বহু মানুষকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই মতো কেউ ফিরছেন বাসে তো আবার কেউ ফিরছেন ট্রেনে। এরকমই একটি ট্রেন ব্যাঙ্গালুরু থেকে আজ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এসে থামে দুর্গাপুর স্টেশনে। যদিও এই ট্রেনের যাত্রীদের দুর্গাপুর স্টেশনে নামার কথা নয়। শুধুমাত্র রেলের ইঞ্জিন পাল্টানোর জন্যই কিছু সময়ের জন্য দাঁড়ায় ট্রেনটি। কিন্তু ট্রেনটি ওই স্টেশনে দাঁড়াতেই প্রায় ৫৬ জন যাত্রী জোর করে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন স্টেশনে। রেলপুলিশ কিংবা জি আর পি কর্মীদের বাধাও তাদের দমাতে পারেনি। তাদের অভিযোগ, এরা বেশির ভাগ জন ব্যাঙ্গালুরু গেছিলেন চিকিৎসা করাতে। কর্ণাটক সরকারের উদ্যোগে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। এদের মধ্যে কেউ পশ্চিম বর্ধমান, তো কেউ পশ্চিম মেদিনীপুর আবার কেউ কলকাতার বাসিন্দা। সেই মতো তাদের পুরুলিয়ার টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেন পুরুলিয়ায় না দাঁড়িয়ে সোজা নিউজলপাইগুড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ক্ষিপ্ত ওই যাত্রীরা দুর্গাপুরে নেমে পড়েন। তাদের বক্তব্য যে টাকা পয়সার একদিকে যেমন অভাব তেমনই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রোগীকে সাথে নিয়ে শারীরিকভাবে ক্লান্ত তাঁরা নিজেদের কাছাকাছি শহরে না নেমে কেন অন্যত্র গিয়ে ট্রেন থেকে নামবেন?
এমতবস্থায়, খবর পেয়েই রেল আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিক ও মহকুমা আধিকারিকরা ছুটে যান স্টেশনে। যান মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলেও। প্রথমেই স্টেশনে যাত্রীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল টিম।
মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে জানান যে, “ওই ৫৬ জন যাত্রীদের গন্তব্যের একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের নিজেদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাথে প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা এই জেলার বাসিন্দা তাদের হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে।”