করোনা আবহে আশঙ্কা কাটিয়ে দুর্গাপুরের কেন্দ্রগুলিতে নেট (NEET) পরীক্ষা হল নির্বিঘ্নে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৩সেপ্টেম্বরঃ
করোনা আবহের মধ্যেই আজ হয়ে গেল নেট পরীক্ষা। দুর্গাপুর মহকুমায় মোট ১২টি কেন্দ্র যার মধ্যে কাঁকসায় ২টি, পান্ডবেশ্বরে ১টি ও বাকি ৯টি দুর্গাপুরে কেন্দ্র করা হয়েছে যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১,৯৯৮। এই পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই ভিন জেলা থেকে এসেছিলেন, আর এই পরীক্ষা ঘিরে সকাল থেকেই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল একদিকে যেমন চাপা উত্তেজনা তেমনই অন্যদিকে ছিল আশঙ্কা। কারন করোনার কারনে যেহেতু বাস চলাচল ঠিক মতো হচ্ছে না, আবার ট্রেন চলাচল এখনও শুরুই হয়নি। ফলে কিভাবে সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছোনো যায় তা নিয়ে পরীক্ষার্থী সহ অভিভাবককদের মধ্যে ছিল বেজায় মানসিক চাপ। পরীক্ষা হলে ঠিক সময় পৌঁছানোর জন্য চোখেমুখে তাড়াহুড়োর ছবি স্পষ্ট দেখা যায় এদিন। করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও বাসে অতিরিক্ত ভিড়ের আতঙ্ক যেমন করোনা সংক্রমনের ভয়, তার উপর রাস্তায় যানজট। পরীক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন ওঠে যে ঠিক সময়ে পরীক্ষা হলে পৌঁছাতে পারবো তো? তাই, আগেভাগেই হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা।
সকল পরীক্ষার্থীদের বলতে শোনা যায় বাস, অটো পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক, কিন্তু যেভাবে বাসে ভিড় হয় কোন সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে না। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজেদেরকে সচেতনভাবে রাখা ছাড়া কোন উপায় তাদের নেই। শুধুমাত্র বাস পরিবহণ ব্যবস্থা চালু থাকায় রাস্তায় যানজটের একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। পরীক্ষার্থীরা মনে করেন ট্রেন চলাচল যদি চালু থাকত তাহলে হয়তো এত দুর্ভোগ পোয়াতে হতো না। হাতে সময় নিয়ে বেরোতে হয়, যাতে সঠিক সময়ে পরীক্ষা হলে পৌঁছনো যায়। রবিনা ইয়াসমিন মল্লিক কিংবা সোমা দে যারা বীরভূমের বাসিন্দা তাঁদের মধ্যে কেউ বাড়ি থেকে বের হন ভোর তিনটেয় আবার কেউ বের হন সকাল ছটায়। স্বভাবতই বোঝা গেল, পরীক্ষার্থীদের মনে পরীক্ষার ভয়ের থেকেও বেশী নিজেকে সচেতনভাবে রেখে পরীক্ষা হলে সঠিক সময় পৌঁছে পরীক্ষা দেওয়াটাই তাদের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মেনেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়।