পান্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধে খনি আবাসনে এলাকায় ধস, আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর) ২৮সেপ্টেম্বরঃ
খনি আবাসন এলাকায় ধসের কারণে আতঙ্কিত আবাসিকরা। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার খোট্টাডিহি কোলিয়ারীর ডালুরবাঁধ এলাকার ৮ নম্বর আবাসন এলাকায় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে চারটে নাগাদ ইসিএলের পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার ৮ নম্বর এলাকায় ধসের ঘটনাটি ঘটে। ধসের ফলে এলাকার একাধিক আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবাসনের মধ্যে যেমন ফাটল ধরে তেমনি আবাসনের পাঁচিলের একাংশ ভেঙে যায়। বিস্তীর্ণ এলাকায় এর ফলে মাটিও বেশ কিছুটা বসে যায় বলে দাবি করেন আবাসিকরা। রাতে এই ঘটনা ঘটলে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারতো বলে আশঙ্কা তাদের। ঘটনার পরই আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সংশ্লিষ্ট খনি ও পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল। তাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন আবাসিকদের একাংশ।
আবাসিকদের পক্ষে সিয়ারাম গোপ, যশোয়ারা খট্টর, যোগিন্দর প্রসাদ ভূঁইয়ারা এই ধসের জন্য খনি আধিকারিকদের ই দায়ী করেন। তাদের অভিযোগ খনির নিচ থেকে কয়লা কেটে নেওয়ার পর সেই ফাঁকা জায়গা বালি দিয়ে ভরাট করার নিয়ম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই কাজ হয় না বলে অভিযোগ তাদের। আবাসিকরা বলেন আতঙ্ক নিয়ে এই আবাসনে আর থাকতে চাই না। থাকার জন্য দ্রুত অন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হোক বলে দাবি করেন তারা।
খনি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন আবাসিকদের অন্য আবাসনে পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে ।
উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে কাজোরা এরিয়ার জামবাদ এলাকায় আকস্মিক ধসের ফলে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত আবাসন তলিয়ে যায় মাটির নিচে। মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। টানা দশ দিন কাজ চলার পর মাটি সরিয়ে উদ্ধার হয় ওই মহিলার মৃতদেহ। আজকে খোট্টাডিহি খনি আবাসন এলাকায় ধসের ঘটনায় সেই স্মৃতি ফের উসকে দিলো।