অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু রোগীর
আমার কথা, কাঁকসা, ২৯ আগস্ট:
অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল এক অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মীর। ঘটনাকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ উত্তেজনা ছড়ায় পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন রেল হাসপাতালে। মৃতের নাম অমূল্য দাস(৭৭ বছর)। রেলপাড়ের বাসিন্দা ছিলেন অমূল্যবাবু
মৃতের পরিবারের অভিযোগ এদিন সকালে অমূল্য দাস অসুস্থ বোধ করায় তাকে পানাগড় রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর পরিবারকে জানানো হয় আসানসোল থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার পর সেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। সেইমতো আসানসোল থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার পর সেই অ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে চাপানো হয়। অসুস্থ অবস্থায় অমূল্য বাবুকে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে পানাগড়ের দার্জিলিং মোড়ে পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন অক্সিজেনের সিলিন্ডারে অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের চালককে এই বিষয়ে জানানো হলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন ভগবানের নাম নিয়ে চলুন কিছুই হবে না। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অমূল্য দাসকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ অ্যাম্বুলেন্সে চাপানোর সময় তারা রেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সকে অ্যাম্বুলেন্সে সিলিন্ডারে অক্সিজেন আছে কিনা সেই বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করা হলে সব ঠিকঠাক আছে বলে হাসপাতালে তরফ থেকে জানানো হয়। পরিবারের অভিযোগ যদি সব ঠিকই থাকে তবে পানাগড় থেকে বেরোনোর আগেই সিলিন্ডারের অক্সিজেন কিভাবে শেষ হয়ে যায়? শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে একজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী। যদিও এই বিষয়ে হাসপাতালের তরফ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে রেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ।তাদের অভিযোগ যে প্রাক্তন রেল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।সেই রেল কর্মীর বাড়ি হাসপাতাল থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই রেল কলোনিতে।তাড়াহুড়তে প্রথমেই তারা রেল হাসপাতালে নিয়ে যান।ওই হাসপাতালে নূন্যতম চিকিৎসা টুকু হয় না।না থাকে ডাক্তার।না কোনো ওষুধ পত্র।শুধু তাই নয়।পানাগড় স্টেশনে কোনো দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলেও হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসার অভাবে অনেকেই প্রাণ হারান।এমনও ঘটনার সাক্ষী রয়েছে বহুবার পানাগড়ের মানুষ।হাসপাতালের নিজস্ব কোনো এমব্যুলেন্স ও নেই। রুগীকে স্থানান্তর করতে হলে বাইরে থেকে রেলের এমব্যুলেন্স আনতে হয়।এদিকে ঘটা করে পানাগড় স্টেশনে বন্দেভারত ট্রেন উদ্বোধন করা হয়।কিন্তু যাত্রী ও রেলের কর্মীদের কারোর চিকিৎসার প্রয়োজন হলে নূন্যতম পরিষেবা টুকু রেল দিতে পারে না পানাগড়ে।