সিটিসেন্টারে শুয়োরের বিচরণ ভূমি বদলে হতে চলেছে “জগার্স পার্ক”
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৫জুনঃ
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ফল পেতে চলেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা। সুয়োরের খোয়ার বদলে এবার তা রূপ পেতে চলেছে উদ্যানের। শহরের সৌন্দোর্যায়নের প্রসঙ্গ যখনই এসেছে তখনই সবার আগে এই জায়গাটির কথা প্রসঙ্গে উঠে আসতো। কিন্তু কৈনো এক অজানা কারনে কিছুতেই এই জায়গাটির সংস্কার করা হতো না। কিন্তু এবার অব্যবহৃত জঙ্গলাকীর্ণ জায়গাটি পরিবর্তিত হয়ে হতে চলেছে ঝাঁ চকচকে পার্ক।
বাম আমলে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ডিভিসি মোড় হয়ে দুর্গাপুর শহরে ঢোকার মুখে প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার ঢোকার মুখে ১৯ একর জমি রীতিমতো জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছিল। এলাকায় বস্তি গড়ে ওঠায় শুরু হয় শুয়োরের চাষ। শহরে ঢোকার মুখে এরকম নোংরা জায়গা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে নানা অভিযোগ ছিল। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার এই জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা নিয়ে নানা বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। এর পরেই এই জমির অপর দিকে গড়ে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার সার্কিট হাউস। গড়ে ওঠে মহকুমা শাসকের বাংলো এবং গড়ে ওঠে মহকুমা প্রশাসনের নানা কার্যালয়ের ভবন। এর পরেই টনক নড়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের। একদিকে ঝাঁ-চকচকে সার্কিট হাউস সহ অন্যান্য সরকারি অফিস ও মহকুমা শাসকের বাংলো আর অন্যদিকে এই বিশালাকায় ১৯ একর জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা এবং অবাধে শুয়োরের বিচরণভূমি। তাই শেষ পর্যন্ত আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয় এখানে পার্ক গড়ে তোলার যেখানে থাকবে জগার্স পার্ক যেখানে সকলের ভ্রমণের জায়গা, বসার জায়গা সহ নানা সুযোগ সুবিধা। তারই ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার ছিলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই, যার প্রচেষ্টায় মূলতঃ এই কাজটি সম্পন্ন হলো । এই ১৯ একর জায়গা ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে আজ থেকেই আর তাই খুশি এলাকাবাসী।