ফেরার করুন আর্জি ইউক্রেনে আটকে থাকা দুর্গাপুরের চার কন্যার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৫ ফেব্রুয়ারীঃ
দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত রাতুড়িয়া গ্রামের ঝুমকি ও রুমকি গাঙ্গুলী ইউক্রেনে খারকিব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে গিয়েছিল গত ডিসেম্বর মাসে। ৮ডিসেম্বর পৌঁছে যান ইউক্রেনে। এরপর এম.বি.বি.এস পড়াশুনা শুরু করে এই দুই যমজ বোন। বেশ চলছিল, ইউনিভার্সিটির নিজস্ব বেশমেন্ট এখন এদের মাথা গোঁজার জায়গা,সাথে নিরাপদ আশ্রয়। ভারী বুটের শব্দ আর মুহূর্মুহু বোমের গুলির আওয়াজে আজ রুমকি আর ঝুমকির সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হতে বসেছে।শেষবারের মতো মেয়ের সাথে যোগাযোগ হয় শুক্রবার সকালে, তাও বেশিক্ষন কথা বলা যাচ্ছে না বলে জানান ওই দুই বোনের বাবা মা। গতকাল মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য যোগাযোগ হলেও, তারপর থেকে আর সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না।জল নেই, আলো নেই, শীতের পোশাকও নেই, টাকা শেষ, এখন কিভাবে ফিরবে দুই মেয়ে তা ভেবে উঠতে পারছেন না রুমকি আর ঝুমকির মা সুনন্দা গাঙ্গুলী আর বাবা ধীরেন গাঙ্গুলী। দুর্গাপুরের প্রণবানন্দ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন এই দুই বোন। এরপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরেরই আরো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পর, শেষে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ইউক্রেন পাড়ি দুই বোনের। স্বপ্ন পূরণের স্বপ্ন উড়ান যেন আজ অনেকটা ধূসর হয়ে গেছে ভারী বুটের শব্দে। দুই মেয়েকে এখন আদরের স্নেহময়ী কোলে ফিরে পেতে চাইছেন এক বাবা মা। চাইছেন এই রাজ্যের সরকার ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক দুই মেয়েকে।
অপরদিকে, দুর্গাপুরেরই আরো দুই কন্যাও ওই একই বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে গিয়ে জীবন হাতে নিয়ে আটকে রয়েছেন ইউক্রেনে। ইস্পাত নগরীর আনন্দবিহারের বাসিন্দা নেহা খান ও নঈমনগরেএ বাসিন্দা জিনাত আলমের পরিবারও প্রতিটা মুহূর্ত উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। পথ চেয়ে বসে আছেন মেয়েদের ঘরে ফেরার জন্য।