পরিত্যক্ত খনির চাণক থেকে বের হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস, আতঙ্ক হরিশপুরে
আমার কথা, অন্ডাল, ৫ জুন:
পরিত্যক্ত খনির চাণক থেকে বের হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস, ধুঁয়ো। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে বসতি এলাকা। সোমবার কাজোরা এরিয়ার হরিশপুর গ্রামের ঘটনা।
২০২০ সালে প্রথমবার ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার হরিশপুর গ্রামে ঘটে ধসের ঘটনা সেই সময় একাধিক বাড়িতে দেখা দেয় ফাটল, বেশ কিছু পাকা বাড়ি ভেঙে যায়। এরপরও ঘটেছে একাধিকবার ধসের ঘটনা। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে অনেকে। এলাকাটি বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় উঠেছে পুনর্বাসনের দাবি। দাবির সমর্থনে বিক্ষোভ, আন্দোলনের পাশাপাশি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাসিন্দারা। পুনর্বাসনের ব্যাপারে প্রশাসনের গড়িমসির কারণে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল বাসিন্দাদের একাংশ। কিন্তু এখনো পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। আতঙ্কের কারণে একসময় যারা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে ছিল বাধ্য হয়ে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছে।
কিন্তু এলাকায় আতঙ্ক রয়ে গেছে আগের মতই। সোমবার দুপুর দুটো, আড়াইটা নাগাদ হরিশপুর গ্রামের ঝড়েপাড়া এলাকার কাছেই কাজোরা এরিয়ার পরিত্যক্ত খাদানের চাণকের মুখ থেকে বের হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস সাথে ধুঁয়ো। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছে বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ ঘোষ, বিশ্বজিৎ ঘোষরা জানান বহু বছর আগে এখানে কাজোরা এরিয়ার মাধবপুর ১২ নম্বর কোলিয়ার ছিল। কোলিয়ারিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চাণকের মুখ সিল করে দেওয়া আছে। সেখান থেকেই আজ বিষাক্ত গ্যাস, ধুঁয়ো বের হচ্ছে। এদিন বিকেল বেলায় কাজোরা এরিয়ার সেফটি অফিসার সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক ঘটনাস্থলে এলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দাদের একাংশ। আধিকারিকদের কাছে দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ ঘিরে ঘটনাস্থলে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে রয়েছে অন্ডাল থানার পুলিশ। গ্যাস, ধুঁয়ো বেরানোর কারণ নিয়ে ইসিএল আধিকারিকদের কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।