করোনা আবহে দুর্গাপুরের পুজা কমিটিগুলি কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানছে, খতিয়ে দেখতে মণ্ডপগুলিতে পুলিশের আধিকারিকরা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৫অক্টোবরঃ
বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা, আর এই দুর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর আপামোর বাঙ্গালী মেতে ওঠেন উৎসবে। কিন্তু অন্যান্য বছরের থেকে এ বছরটা সম্পূর্ণ আলাদা আর তাঁর কারন সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে করোনা ভাইরাসের মতো মারাত্মক এক ব্যাধি। তাই এ বছর আদৌ দুর্গাপুজা হবে কিনা তা নিয়ে সকলের মধ্যেই ছিল এক ধ্বন্ধ। কিন্তু সকলের কথা চিন্তা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সমস্ত সার্বজনীন পুজা কমিটিগুলিকে অনুমতি দিয়েছেন পুজো করতে, কিন্তু অবশ্যই পুজো করার জন্য বেঁধেও দিয়েছেন কিছু নিয়ম কানুন, আর পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হুকুম দিয়েছেন পুজো কমিটিগুলি সেই নিয়ম মেনে চলছে কিনা তাতে নির্দেশ দিয়েছেন নজরদারির। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশানুসারে দিন কয়েক আগে দুর্গাপুরের সমস্ত পুজ কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে আর সেই বৈঠকে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে এ বছর করোনা আবহে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করতে হবে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন পুজোর পাশাপাশি দুর্গাপুরের কয়েকটি পুজোর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন করেন। সেই সমস্ত পুজো মন্ডপ সহ দুর্গাপুরের অন্যান্য পুজো মন্ডপগুলিতে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিও ছিল। মূলতঃ এদিন তাদের উপস্থিত কারন ছিল পর্যবেক্ষণ, অর্থাৎ পুজো কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধির সরকারী নির্দেশিকা সঠিকভাবে মেনে চলছে কিনা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা, সি আই অর্ঘ্য মন্ডল, দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজশেখর মুখোপাধ্যা সহ পুলিশ আধিকারিকের দল পুজো মন্ডপগুলির পরিদর্শণে বের হন। প্রথমেই যান ভিড়িঙ্গির নবারুন, তারপর বেনাচিতির অগ্রণী হয়ে সিটিসেন্টারের সিমেন্ট পার্ক, চতুরঙ্গে। এরপর সেখান থেকে ফুলঝোড়ে।
সেখানে ইতিমধ্যে উপস্থিত ছিলেন এদিপি(কাঁকসা) শ্বাশতী শ্বেতা সামন্ত, এসিপি(ট্রাফিক) দেবাশিষ বক্সি, নিউ টাউনসিপ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিজন সমাদ্দার।
দুর্গাপুরের বিভিন্ন পুজো মন্ডপগুলি ঘুরে পুলিশের তরফে সাধারন মানুষকে আস্বস্ত করা হয় এই মর্মে যে, “পুজো দেখুন নিরাপদে, মাস্ক ব্যবহার করুন, ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার। পুলিশ সব সময়ই আপনাদের সাথে আছে আর থাকবেও। নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন।”