সৌজন্যের রাজনীতি, রানীগঞ্জের অসুস্থ প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে দেখতে গেলেন তৃণমূলের বিধায়ক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৪জুলাইঃ
একেই হয়ত বলে সৌজন্যের রাজনীতি। রাজনীতির উর্ধে আগে যে মানুষ তা আবারও একবার প্রমান হল যখন একজন সিপিএমের প্রাক্তন অসুস্থ বিধায়ককে দেখতে গেলেন তৃণমূলের বিধায়ক।
বেশ কিছুদিন ধরেই শারিরীকভাবে অসুস্থ রানীগঞ্জের প্রাক্তম সিপিএম বিধায়ক হারাধন ঝা। খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাড়ি গেলেন পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোল পুরসভার মহানাগরিক জিতেন্দ্র তিওয়ারী। সাথে ছিলেন রানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া ও পুরনিগমের পুরপিতা কাঞ্চন তিওয়ারী।
জিতেন্দ্র তিওয়ারী তিনি রানিগঞ্জ সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া ও পুরনিগমের কাউন্সিলার কাঞ্চন তেওয়ারিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, তারা যেন প্রতি সপ্তাহে প্রাক্তন বিধায়কের খোঁজ খবর নিতে আসেন। এছাড়াও বিধায়ক প্রাক্তন বিধায়ককে বলে আসেন, কোন রকম সমস্যা হলে তাঁকে জানাতে। তাঁকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা হবে।
এই প্রসঙ্গে হারাধন ঝা বলেন, জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও তার সঙ্গে আসা লোকেদের দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। তারা আসায় আমার ২৫ শতাংশ অসুখ ঠিক হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, জিতেন্দ্র তেওয়ারি উন্নয়নয়ের দিকে খুব নজর দিয়েছেন। জিতেন্দ্র তেওয়ারি জীবনে অনেক উন্নতি করুক। জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ২০০৬ সালে দিদি আমাকে রানীগঞ্জে দলের প্রার্থী করেছিলেন৷ সেই সময় আমি হারাধন ঝায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করেছিলাম। সেই সময় আমি বলেছিলাম, উনি আমার কাকা। আমি তার বিরুদ্ধে কিছু বলবো না। কাল আমি তার অসুস্থতার কথা জানতে পারি। তারপর এদিন আমি স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তাকে দেখতে এসেছি। আমি তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তাঁর লড়াই বিফলে যাবেনা। তিনি আসল বামপন্থী। তাঁর মতো বামপন্থী বিচারধারার নেতা আজ সমাজে বিরল। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।