“বাংলায় বিকল্প রাজনীতি”-এই রহস্যজনক পোস্টার এবার দুর্গাপুরে, সরগরম শিল্পাঞ্চল রাজনীতি
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৫ জানুয়ারি:
“বাংলায় বিকল্প রাজনীতি” শীর্ষক পোস্টার পড়ল দুর্গাপুরেও। এই পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই রহস্য দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। কলকাতা, রানীগঞ্জে এই পোস্টার পরার পর এবার শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে এই পোস্টারকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালত চত্বরে শুক্রবার সকালে এই পোস্টার দেখা যায়।
এই বিষয়ে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, যারা এই পোস্টার লাগাচ্ছেন তারা মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বিকল্প রাজনীতির। কিন্তু তারা এটা পরিষ্কার করে বলছেন না কিসের বিকল্প বা কার বিকল্প। রাতের অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে যারা পোস্টার দিচ্ছেন তারা সত্যিই কি বিকল্প দিতে পারবেন? পোস্টার দিতে হলে দিনের আলোতে পোস্টার দিক। আমার তো মনে হয় এগুলো শুভেন্দু অধিকারীর মস্তিষ্ক প্রসূত। ধর্মের আফিমে যখন আর মানুষকে বেধে রাখতে পারছেন না তখন এসব রাস্তা ধরেছে।
সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “আমরা তৃণমুল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিকল্পের কথাই তো বলছি। ঘোষিতভাবেই আমরা এদের দুজনের রাজনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে এবং এদের তানাশাহির বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে সূর্যালোকে এই ঘোষণা আমাদের। রাতের অন্ধকারে নামবিহীন পোস্টার লাগাতে হয় না। তবে রাতের অন্ধকারে লাগানো পোস্টারের বিকল্পের ধারণা যদি সত্যিই তৃনমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিকল্পের কথা বলে, তাহলে তখন ভাবার অবকাশ থাকবে। আগে রাতের অন্ধকারের বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে দিবালোকে তো আসুক।”
বিজেপির জেলার সাধারন সম্পাদক অভিজিৎ মুখার্জী বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা রাষ্ট্র ভাবার চেষ্টা চলছে। এর পেছনে শাসকদলেরই হাত রয়েছে।
কিন্তু এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দুবার ফোন করে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে কে বা কারা এই পোস্টার দিচ্ছে সেই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুললেও পোস্টার কান্ডের নেপথ্যে কারা সে বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না।