বকেয়া বিল মেটানোর পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, হয়রানির অভিযোগে আত্মহত্যার হুমকি দুর্গাপুরের দম্পতির
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৫সেপ্টেম্বরঃ
একেই একই মাসে তিন রকমের তবার বিল তারপরে সেই বকেয়া বিল মেটানোর পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্তন উন্নয়ন নিগমের বিরুদ্ধে, যদিও ইচ্ছাকৃত নয় বলে দাবি বিদ্যুৎ পর্ষদের। তবে এরকম হয়রানি চলতে থাকলে আত্মহননের পথ বেছে নেবেন বলে হুমকি গ্রাহকের পরিবারের।
দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক নীহাররঞ্জন বিশ্বাস জানান জুলাই মাসের বকেয়া বিদ্যুতের বি তাঁর মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিদ্যুৎ পর্ষদের পক্ষ থেকে। তবে অভিযোগ একবার নয় পর পর তিনবার মেসেজ আসে আর বিলে টাকার পরিমান তিনবার তিন রকম আসে। তা নিয়ে নীহাররঞ্জনবাবু সিটিসেন্তারে বিদ্যুতের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে আগে বকেয়া বিদ্যুতের বিল মেটানো হোক তারপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই মতো কোনো ঝামেলা যাতে না হয় তাই নীহাররঞ্জনবাবু বকেয়া বিলের টাকা মিটিয়ে দেন কিন্তু অভিযোগ বিল মেটানোর পরেও গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিকেলে তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ আচমকাই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পুলিশের সহযোগিতায় টোল ফ্রি নামাব্রের মাধ্যমে যদিও ছয় ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে পান নীহাররঞ্জনবাবু। রবে যে বিদ্যুতকর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগ জুড়তে এসেছলেন তাঁরা নীহাররঞ্জনবাবুকে নাকি বলে গেছেন এই ধরনের সমস্যার মধ্যে তিনি আবারও পড়তে পারেন।
এখন নীহাররঞ্জনবাবুর প্রশ্ন যে “আমরা কি চোর? চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি নাকি বিদ্যুতের বিল মেটাইনি? তাহলে কেন এরকম হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে?” নীহাররঞ্জনবাবুর স্ত্রী শিখাদেবী জানান, স্বামীর হাইব্লাড সুগার, বিদ্যুৎ অফিসে গেলে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে, আবার ঘরে এলেও তারা এক অজানা আতঙ্কে ভুগছেন, কেন সবকিছু মিটিয়ে দেওয়ার পরও অহেতুক এক হয়রানির মুখে পড়তে হবে তাদেরকে, এই প্রশ্ন তুলে নীহার রঞ্জন দাসের স্ত্রী শিখা বিশ্বাস জানালেন, যদি এইভাবে তাদেরকে মানসিক যন্ত্রনা দেওয়া হয় তাহলে মৃত্যু ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।” তবে এই বিষয়টি নিয়ে মহকুমা শাসকের শরণাপন্ন হয়েছেন বিশ্বাস দম্পতি।
এদিকে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের দুর্গাপুর শাখার মতানেজার রাজেন নন্দী জানান হয়ত কোনো কারনে নীহাররঞ্জনবাবুর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তবে অভিযোগ পাওয়ার পরেই আবার রাতের বেলাতেই লাইন জুড়ে দেওয়া হউয়েছে। আর বিফ্যুত বিলের সমস্যা খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।