অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে প্রতিবাদ
আমার কথা, অন্ডাল, ২৮ মে:
অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের একাংশ। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান তারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেন্টারে শিক্ষিকা।
অন্ডাল ব্লকের মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডান্ডাডিহি গ্রামের ডাঙ্গালপাড়াতে রয়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি ( ৬৫ নং ) কেন্দ্র। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৬ জন । প্রসূতি মা রয়েছেন আটজন। কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছেন শ্যামলী মিশ্র নামে একজন শিক্ষিকা। একজন সহযোগীও (রাধুনি) আছে সেন্টারে। সোমবার সকালে কেন্দ্রটিতে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সেলিমা বিবি, সাদ্দাম শেখরা জানান দিদিমণি নিয়মিত সেন্টারে আসেন না। তিনি মর্জি মাফিক কেন্দ্রটি চালান। শনিবার অন্যান্য সেন্টার খোলা থাকলেও ৬৫ নম্বর কেন্দ্রটি প্রতি শনিবার বন্ধ থাকে ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। কেন্দ্রে পড়ুয়া ও প্রসূতি মায়েদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় সেই কারণে এদিনের বিক্ষোভ বলে জানান তারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেন্টারের শিক্ষিকা শ্যামলী মিশ্র। তিনি দাবি করেন শনিবার স্কুল বন্ধ থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন, হয়তো কোন শনিবার সহকারী অসুস্থ থাকার কারণে বন্ধ ছিল। শ্যামলী দেবী জানান সেন্টারে পড়ুয়া ও প্রসূতি মায়েদের জন্য একদিন ভাত, পরের দিন খিচুড়ি দেওয়া হয়। ভাতের সাথে দেওয়া হয় সবজি, ডিম সেদ্ধ। যেদিন খিচুড়ি দেওয়া হয় সেদিন খিচুড়ির সাথে থাকে সবজি। পড়ুয়া ও প্রসূতি মায়েদের খাবারের জন্য নির্দিষ্ট পয়সা বরাদ্দ থাকে। বর্তমানে আলুর দাম অনেকটা বেড়ে গেছে তাই বাড়তি সবজি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা জানান কেন্দ্রের দিদিমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে শীঘ্রই তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন। অভিভাবকদের বিক্ষোভ ও অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য অন্ডাল ব্লকের সিডিপিও স্বর্ণপ্রিয়া নাগকে একাধিকবার ফোন করা হলো তিনি সাড়া দেননি। তাই তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।