জমির মালিকানা স্বত্ব ফিরে পেতে কাজ বন্ধ করে খনিতে বিক্ষোভ
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ১৬ মে:
সিভি অ্যাক্ট এ জমি নিয়েছে ইসিএল বিষয়টি প্রকাশে আসতে ক্ষোভ ছড়ালো পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের নবগ্রাম গ্রামে। বৃহস্পতিবার জমির মালিকানা স্বত্ব ফিরে পেতে খোলা মুখ খনির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালো বাসিন্দাদের একাংশ।
পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের নবগ্রাম গ্রামে প্রায় আড়াই তিন হাজার পরিবারের বসবাস। রয়েছে একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, পোস্ট অফিস সহ অন্যান্য পরিকাঠামো ও পরিষেবা। গ্রাম থেকে কিছুটা দূরত্বে পাণ্ডবেশ্বর যাওয়ার রাস্তার পাশে রয়েছে ইসিএল এর সোনপুর বাজারি এরিয়ার খোলা মুখ খনি। ভবিষ্যতে সেই খনি সম্প্রসারণের কাজে প্রয়োজন আরও জমি। সেই কারণে নবগ্রাম মৌজার জমি উপর লাগু হয়েছে সিভি অ্যাক্ট (কোল ভিয়ারিং অ্যাক্ট )। এই আইনের নিয়ম অনুযায়ী জমির প্রকৃত মালিকরা ওই এলাকার জমি কেনা বেচা করতে পারবে নাম এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসার পর বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বৃহস্পতিবার বাসিন্দাদের একাংশ গ্রামের পার্শ্ববর্তী সোনপুর বাজারি এরিয়ার খোলা মুখ খনির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। দশটার থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ চলে বেশ কয়েক ঘন্টা। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় খোলা মুখ খনির উৎপাদন ও পরিবহনের কাজ। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে শেখ লোকমান, শেখ মকবুল, সনাতন সৌ, বাবু মুখার্জিরা বলেন পূর্বপুরুষ ধরে এলাকায় বসবাস করছি । জমির প্রকৃত মালিক আমরা। অথচ আমাদের অন্ধকারে রেখে ইসিএল গোটা নবগ্রাম মৌজার জমির উপর সিভি অ্যাক্ট কার্যকর করেছে। জমির মালিকানার সমস্ত সরকারি তথ্য প্রমাণ কাগজ আমাদের কাছে থাকলেও সরকারি কাগজ পেনে আমরা আর মালিক নই। এই আইনের ফলে প্রয়োজন পড়লেও কেউ জমির কেনাবেচা করতে পারবে না জমির মালিকানা স্বত্ব ফিরে পাওয়ার দাবিতেই আজকের এই বিক্ষোভ বলে জানান তারা। পাশাপাশি তারা বলেন নিয়ম মেনে জমির পরিবর্তে চাকরি, ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন দিয়ে ইসিএল সংস্থা আমাদের জমি অধিগ্রহণ করুক অথবা জমির মালিকানা সত্ব আমাদের ফেরত দিক।
এ দিনের গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য সোনপুর বাজারি এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার আনন্দ মোহন ও ইসিএল হেডকোয়ার্টারের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নীলাদ্রি রায়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনে সাড়া না দেওয়াই তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।