সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার সক্রিয় রাজনীতিতে ছত্রধর মাহাতো
আমার কথা, ঝাড়গ্রাম, ৮জুলাইঃ
জঙ্গলমহলের সক্রিয় রাজনীতিতে ছত্রধর মাহাত! বুধবার গোপীবল্লভপুর ১নম্বর ব্লকের গোপীবল্লভপুর বাজার এলাকায় হাটিবাড়ি রাস্তায় গোপীবল্লভপুর ১নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা হয়। এদিনের এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটির প্রাপ্তন নেতা ছত্রধর মাহাত। গোপীবল্লভপুর ব্লকের সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমা গ্রাম থেকে প্রায় ৩০টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে বলে তৃণমূলের দাবি। তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন ছত্রধর মাহাত।
ছত্রধর মাহাত এদিন বলেন, আমাদের দল বা তৃণমূল কংগ্রেস এখানে অনেক খানি পিছিয়ে পড়েছে। আজকের এই উৎসাহ দেখে আমার মনে হয় পিছিয়ে পড়া বলে কিছু হয় না। কারন মানুষই গড়তে পারে, তৈরি করতে পারে, মানুষই পরিবর্তন আনতে পারে।
স্বভাবতই ছত্রধর মাহাতোর এই কথাতেই স্পষ্ট যে তিনি একজন তৃণমূল কর্মী ।
টানা দশ বছর জেল খাটার পর এবছরের ২ ফেব্রুয়ারি সংশোধনাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছত্রধর মাহাতো। সেদিন ছত্রধর মাহাতো বলেছিলেন তিনি এই মুহূর্তে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন না। অনেকদিন পর মুক্ত আকাশ দেখলেন এখন কিছুটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চাই। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকায় বারে বার ঝাড়গ্রাম এসেছেন। সেই সময় ছত্রধর মাহাতো ও তার স্ত্রী নিয়তি মাহাতো একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বৈঠক করেছেন। কিছুদিন আগে ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর এর কমিটির স্থায়ী সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন। তারপরে এদিন তৃণমূলের কর্মী সভায় যোগদান পর্বের পর ছত্রধর মাহাতোর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। তবে কি ছত্রধর মাহাতো সক্রিয় রাজনীতিতে নামছে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে?
এদিন ছত্রধর মাহাতো বিজেপিকে নিয়ে বলেন, এখানে একটি সাম্প্রদায়িক দল রয়েছে যারা কখনো পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।