নারায়ন খাড়কার অফিস তল্লাশীতে উদ্ধার গাড়ি থেকে ল্যাপটপ সহ নথিপত্র
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৪ এপ্রিলঃ
১৯ এপ্রিল রাতে নারায়ণ খাড়কার অফিসে তল্লাশীতে এসেও কার্যতঃ খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল রাজু ঝায়ের খুনের ঘটনার বিশেষ তদন্তকারী সিটের আধিকারিকদের। কিন্তু আজ ফের তল্লাশী করতে এসে নারায়ন খাড়কার সিটিসেন্টারের দপ্তরের ঠিক পেছনে একটি সাদা গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এলটি ল্যাপটপ ও সাথে বেশ কিছু নথিপত্র। সিট আধিকারিকরা সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করে নেয়। দুপুর থেকে ম্যারাথন তল্লাশীতে উদ্ধার হয় এই সকল কিছু।
উল্লেখ্য, ওই অফিস থেকেই চলতি মাসের ১৮ তারিখ নারায়ন খাড়কার গাড়ির চালক অভিজিৎ মন্ডলকে সিট গ্রেপ্তার করে। ১৯ তারিখ রাতে সিটের তদন্তকারী দল সিটিসেন্টারের ওই অফিসে অভিযান চালতে এসে ব্যার্থ হয়। ওই দিন অফিসে তালা বন্ধ ছিলো। সিট এর দল অফিসটি সিল করে দিয়ে যায়। পরে আদালতে নির্দেশে অফিস তল্লাশির অনুমতি নিয়ে এদিন ফের আসেন তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থলে আসেন নারায়ণ খারকার আইনজীবীরা। পুলিস অফিসের সিল খুলে তল্লাশি শুরু করে। অফিস চত্বর নিরাপত্তার জন্য বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সিটের একাধিক পুলিস আধিকারিক অফিসের ভেতর তল্লাশি চালান। নারায়ণ খারকার গাড়ির চালক ধৃত অভিজিৎ মন্ডলকেও পুলিস অফিসের ভেতরে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই তল্লাশীপর্বেই ওই গাড়ি আর আর গাড়ির ভেতর থেকে ল্যাপটপ সহ কাগজপত্র উদ্ধার হয়।ীর পাশাপাশি নারায়ন খাড়কার অফিস থেকে সিসিটিভি ফুটেজের জন্য হার্ডডিস্ক নিয়ে গিয়েছে সিট আধিকারিকরা।যদিও এখনো পর্যন্ত্য নারায়ণ খাড়কার কোনো সন্ধান পায়নি সিট আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গতঃ চলতি মাসের ১ তারিখে দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝাঁ। সঙ্গে ছিল রাজু ঝায়ের ছায়াসঙ্গী ব্রতীন।শক্তিগড়ে তাদের গাড়ি দাঁড়ানোর পর একটি নীল গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শ্যুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়।এই ঘটনার ১৮ দিন পরে অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেপ্তার হয়।পুলিস তাকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, রাজু ঝাঁ খুনের শার্প শ্যুটারদের দুর্গাপুরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল।কয়েকমাস ধরেই শুটাররা টার্গেট করছিল রাজুকে।