ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে কনস্টেবলের এলোপাথাড়ি গুলি, টানা ৮ ঘন্টা পর যবনিকা পতন
আমার কথা, ঝাড়গ্রাম, ২৩এপ্রিলঃ
প্রায় ৮ ঘন্টার টান টান উত্তেজনার পড়ল যবনিকা পতল ঘটল ঝাড়গ্রামের কন্সটেবলের গুলি চালানোর ঘটনায়। বাঁকুড়া রেঞ্জের আইজি আর রাজশেখরনও ও কনস্টেবল বিনোদ কুমারের পরিবারের উপস্থিতিতে তাঁকে চার তলা বাড়ির ছাদ থেকে নামানো সম্ভব হয়। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানান ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভারত রাঠোর।
প্রসংগতঃ ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বিনোদ কুমার নামে ওই জুনিয়র পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। পুলিস লাইনের মেন সেন্টি পোস্টে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, এদিন জেলা পুলিসের চারতলা ভবনের ছাদ থেকে হঠাৎই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন ওই পুলিস কনস্টেবল। এখনও পর্যন্ত তাঁর ডিউটির বন্দুক থেকে মোট ৯ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন তিনি। ঘটনার জেরে তড়িঘড়ি ডিয়ার পার্ক থেকে কদম কানন মোড় পর্যন্ত রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিরাপদ স্থান থেকে অন্যান্য পুলিস কর্মীরা মাইকিং করে গুলি চালানোর কারণ জানতে চান। তাঁকে বলা হয় কোনও সমস্যা থাকলে তা জানানোর জন্য। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও গুলি চালানো বন্ধ হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় শেষ পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে অকুস্থলে হাজির হন এলাকার এসডিওপি, অতিরিক্ত এসপি, আইসি। আনা হয় অ্যান্টি ল্যান্ডমাইন একটি গাড়িও। নানাভাবে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয় পুলিশের কর্তা ব্যাক্তিদের। অবশেষে বিনোদ কুমারের পরিবারকে সেখানে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরেই পুরুলিয়ার কোটশিলা থেকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয় বিনোদকুমারের স্ত্রী সুমাকুমারী, এবং তাঁর বাবা ও ভাইকে। তাঁরাও বারবার নেমে আসার জন্য অনুরোধ জানাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত পরিবারের আবেদনে সাড়া দেন তিনি। এরপর ছাদের থেকে নেমে আসেন ওই কনস্টেবল।
পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভারত রাঠোর জানান যে, “কী কারণে ওই পুলিশকর্মী এমন ঘটনা ঘটালেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশকর্তারা। বিনোদ কুমার নামে একজন জুনিয়র কনস্টেবল আছেন। ওঁর একটু হ্যালুসিনেশন হয়েছিল। তার জন্য ফায়ারিং করেছে। কথাবার্তা বলে ওঁকে নামানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে দেখছি।”