পুনর্বাসনের দাবিতে ইসিএলের কার্যালয়ে বিক্ষোভ হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ৪নভেম্বরঃ
পুনর্বাসন এর আগে খোলামুখ খনির চালু করা যাবে না, এই দাবীতে মঙ্গলবার ইসিএলের দুজন নিরাপত্তারক্ষীকে ঘন্টা চারেক আটকে রেখেছিল কাজোড়ার হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর ওই একই দাবিতে বুধবার ফের বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখায় কাজোরা এরিয়া অফিসে। বাসিন্দাদের অভিযোগ মাস পাঁচেক আগে হরিশপুর গ্রামে ধস নামে, তাতে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরে, জমির বেশ কিছু অংশ বসে যায়। তাদের দাবি এরপর প্রশাসনিক বৈঠক গ্রামের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু এখনও তারা পুনর্বাসন পাইনি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কবে সম্পূর্ণ হবে তারও ঠিক নেই।
অন্যদিকে নতুন খোলামুখ খনির কাজ চালু করতে তৎপর হয়েছে সংস্থা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা একবার নতুন খনির কাজ চালু হলে তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি পিছিয়ে যেতে পারে। তাই আগে পূনর্বাসনের প্রক্রিয়া শেষ হোক, তারপর কাজ শুরু করুক সংস্থা।
এই দাবিতে আজ ফের কাজোড়া এরিয়া অফিস কার্যালয়ে বিক্ষোভে সামিল হন বাসিন্দারা। সংস্থার আধিকারিকদের হাতে পূনর্বাসনের দাবিতে স্মারকলিপি ও তুলে দেন বাসিন্দারা।
আজকের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারকে কয়লা মন্ত্রক টাকা দিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেখছে। অন্যদিকে এডিডিএর ভাইস-চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জানান পুনর্বাসনের জন্য আবাসন তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। তবে বাসিন্দাদের দাবি তারা গ্রামের মানুষ, ফ্ল্যাটের বাসিন্দা নন, তাই ফ্ল্যাট নয়, গ্রামের বদলে গ্রাম তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানান তারা।