ইস্পাত কর্মীর মৃত্যুতে লিংক রোডে যান চলাচলে কড়া পদক্ষেপ, ভাঙা হবে পুলিশ চেকপোস্ট
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৯ ফেব্রুয়ারীঃ
এক কর্মীর মৃত্যুতে নড়ে বসল প্রশাসন, নড়ল কারখানা কর্তৃপক্ষ। নো এন্ট্রির যে নিয়ম ছিল সেটিতে এবার কড়া শিলমোহর পড়ল। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পক্ষ থেকে লিংক রোড যা দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর সাথে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাকে সরাসরি যুক্ত করে, সেই রাস্তায় ভারী যান চলাচলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। সার্বিক চিন্তাভাবনার পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত্য এই রাস্তা দিয়ে কোনো ভারী যান চলাচল করতে পারবে না। এই রাস্তায় ভারী যান চলাচলের সময় নির্ধারিত করা হয়েছে যে রাত এগারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত্য। পাশপাশি লিংক রোডের উপর যে পুলিশ চেক পোস্টটি রয়েছে সেটি আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল আর খুব তাড়াতাড়ি সেটি ভেঙেও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে। এছাড়াড়াও দ্রুততার সাথে লিংক রোডটি মেরামত করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ আজ সোমবার ডিউটি থেকে বাড়ি ফেরার পথে লিংক রোডে একটি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী সঞ্জয় চক্রবর্তীর(৫২)। এই ঘটনার পরেই এলাকার বাসিন্দাদের সাথে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠন ও সঞ্জয়বাবুর সহকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাথে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পথ অবরোধ করেন। তাদের অভিযোগ, লিংক রোড যেটি মুলত ইস্পাত কর্মীদের যাতায়াতের রাস্তা আর এটি নো এন্ট্রির মধ্যে পরে সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে এই রাস্তার উপর একটি চেক পোস্ট তৈরি করে টাকা নিয়ে বে-আইনিভাবে ভারী যান চলাচলে সুবিধা করিয়ে দেওয়া হতো। এরকমই একটি ডাস্ট বোঝাই ট্রাক্টর পুলিশের তোলাবাজির হাত থেকে বাঁচতে পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সঞ্জয়বাবুকে ধাক্কা মারে, যার জেরে মৃত্যু হয় ওই কর্মীর। এই ঘটনার পর কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসে শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মৃত কর্মী সঞ্জয় চক্রবর্তীর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।