দুর্গাপুরে বেসরকারী স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অভিভাবকদের আন্দোলনে এবার সামিল ডান বাম সকলেই
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২৪জুনঃ
করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে লকডাউন আর সেই লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। আবার অনেকেই আর্থিকভাবে বেশ দুর্বলও হয়ে পড়েছেন। এহেন অবস্থায় অভিভাবকদের উপর স্কুলের ফিজ নিয়ে যাতে কোনোরকম চাপ সৃষ্টি না করা হয় তার আবেদন জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তা সত্বেও সরকারের আবেদনকে নস্যাৎ করে দিয়ে একেপেশে মনোভাব নিয়ে চলতে দেখা যাছে রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলিকে। এমতবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিভাবকদের দেখা যাচ্ছে আন্দোলনে নামতে। এই আন্দোলনের প্রভাব দেখা গেল শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরেও। হেমশিলা মডেল হাই স্কুলের পর এবার স্টিল কারমেল স্কুলের অভিভাবকরা বর্ধিত ফিজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হলেন। শুধু তাই নয় তাদের এই প্রতিবাদকে সমর্থন করতে দেখা গেল ডান বাম উভয় দলের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের।
দুর্গাপুরের বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলির বিরুদ্ধে আজ নতুন নয়, বহুদিন থেকেই অভিভাবকদের অভিযোগ যে তাঁরা ফিজ নিয়ে সব সময় তুঘল্কি মনোভাব দেখিয়ে আসছে। কোনো কিছুতেই কর্নপাত করেন না তাঁরা। তাই অবশেষে এবার সমস্ত স্কুলের অভিভাবকরা নিজেদের লড়াইকে আরো মজবুত করতে তৈরী করলেন অভিভাবক আওমন্বয় কমিটি নামে একটি ফোরাম। আজ সেই অভিভাবক স্মন্বয় কমিটির সদস্যরা স্টিক কারমেল স্কুলের সামনে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। সাথে উপস্থিত থেকে তাদের এই বিক্ষোভকে সমর্থন করেন সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ও তৃণমূল পুরপিতা রাজীব ঘোষ।
বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় জানা যে প্রয়োজনে তিনি দুর্গাপুর বর্ধমস্ন কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিকেও অনুরোধ করবেন যাতে রাজনীতি ভুলে অভিভাবকদের এই বিপদের সময় যেন তাদের পাশে এসে দাঁড়ান। অপরদিকে পুরপিতা রাজীব ঘোষ জানান যে, আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারী আগামী সপ্তাহে জেলার সমস্ত স্কুলের অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন।