অন্ডালে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মদের দোকানে লক্ষাধিক টাকার ডাকাতি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ৩০মেঃ লকডাউন এর মাঝেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানে দুঃসাহসিক লুটের ঘটনা ঘটলো অন্ডালের ধান্ডাডিহি এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
শনিবার রাত দশটা নাগাদ অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামে একটা
লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানে দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় লক্ষাধিক টাকার মদ। দোকানের কর্মী রামরঞ্জন মণ্ডল জানান ,রাত দশ টার সময় খাওয়াদাওয়া সেরে তাঁরা সিনেমা দেখছিলেন মোবাইলে। ঠিক সেই মুহূর্তেই কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে দোকানে এবং আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে কেড়ে নেয় মোবাইল ও টর্চ। এর কিছুক্ষণ পর আরও বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী গাড়ি নিয়ে আসে সেখানে এবং দোকান থেকে দেশি বিদেশি মিলিয়ে প্রায় এক’শো পেটিরও বেশি মদ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, যার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার বেশি।
রাত দশ টার সময় জনবহুল জায়গায় এ রকম ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঠিক এভাবেই গত বছর লকডাউনের সময় অন্ডালের খাঁন্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদুলি এলাকায় এভাবেই একটি সরকারি মদের দোকান থেকে চুরি যায় লক্ষাধিক টাকার মদ। প্রশ্ন উঠছে লকডাউনে যেখানে সমস্ত মদ দোকান বন্ধ রয়েছে, সেখানে কী ভাবে একটা দোকানে এত বেশি পরিমান মদের মজুদ ছিল। যদিও লকডাউনের মধ্যেও খনি অঞ্চলে ঘুরপথে মদ বিক্রি হচ্ছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান থেকে বলে অভিযোগ। ক্রেতাদের সেই মদ চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে এমনটাই স্থানীয় সূত্রে খবর। গত বছর লকডাউনের সময় অণ্ডালের সিদুলি এলাকায় মদের দোকান থেকে মদ চুরির পর সেই মদ চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশ ধারনা এর পিছনে কি মদের কালোবাজারির কোনো রহস্য রয়েছে? উঠছে সেই প্রশ্নও। যদিও মদ দোকানের মালিক শুভেন্দু লায়েক জানান, তিনি তার কর্মচারীদের থেকে শুনেছেন কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর দোকান থেকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছে লক্ষাধিক টাকার মদ। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত বোঝা যায়নি। সম্পূর্ণ হিসাব নিকাশ হলেই সেটা পরিষ্কার হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এটা নিছকই দুষ্কৃতীদের কাজ, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য! সবদিকে খতিয়ে দেখা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানান।