হারা আসনে জিততে পাঠানো হয়েছিল, বঙ্গ বিজেপিকে দুষলেন দিলীপ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৬জুনঃ
বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে লক্ষাধিক ভোটে হেরে গিয়ে এবার দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরন ঘটলানে বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে তাঁকে পাঠানো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। সংবাদ মাধ্যমের সামনে অকপট স্বীকারোক্তি দিলীপের।
দিলীপ আছেন দিলীপেই। তিনি দমবার পাত্র নন। হারের পর ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। হারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করলেন তিনি। আসন বদলের পরেই হার দিলীপের। হারের ময়দানে এবার আরো সুর চড়ালেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। রাজনীতি মানেই চক্রান্ত, কাঠিবাজি, নাম না করে পরিষ্কার ইঙ্গিত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্রে জয়ী হন তিনি। দিলীপ বলেন, তিনি তাঁর সাংসদ কোটার পুরো টাকা মেদিনীপুরে উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাতে খরচ করেন। এলাকার প্রতিটি বুথ স্তরের সংগঠন মজবুত করার জন্য কাজ করেন। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর নয়, বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণার পরে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু সেই আপত্তিতে আমল দেয়নি বঙ্গ নেতৃত্ব। শেষ মূহুর্তে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে প্রার্থী করা হয়। দুর্গাপুরে গিয়ে তিনি দেখেন সংগঠনের অবস্থা খুব খারাপ, কর্মীরা বেরোতে চাইছেন না। তাঁর ইংগিতপূর্ণ মন্তব্য যে, কোনো ষড়যন্ত্র হলেও হয়ে থাকতে পারে। তিনি ক্ষোভে বলে ওঠেন, যে লোকে হারা আসন জেতার জন্য পরিকল্পনা করে, এখানে কি জেতা আসন হারার পরিকল্পনা করা হয়েছে? হারা আসন কেন বললেন দিলীপ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই আসনে গতবারে জয়ী হন বিজেপির সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। কিন্ত জেতার পর এই কেন্দ্রে সেভাবে কোনো উন্নয়ণ হয়নি। একন্দ্রে তাঁকে দেখাও যায়নি গত পাঁচ বছরে। ফলে বিজেপি কর্মী থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছিল। ফলে সেক্ষেত্রে এই আসনে বিজেপি কতটা কি করতে পারতো তা নিয়ে দলের অন্দরেই সন্দেহ ছিল। তিনি মেদিনীপুরে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করার কথাও বলেন।