ফের অন্ডালে শ্যুট আউট, গুলিতে জখম এক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ১৩জানুয়ারীঃ
শ্যুটআউটে আহত হলেন এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তি দলের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে খাঁন্দরা পঞ্চায়েতের সিঁদুলির বালি বাঙ্কার সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ সিঁদুলি বালি বাঙ্কার এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন বছর চল্লিশের লক্ষণ কেওট নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় ওল্ড গ্রুপ পাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দলের সমর্থক বলে দাবী তৃণমূলের।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা খাঁন্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী জানান, মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে বিকেলে এলাকায় শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন আহত লক্ষণ বাবুও। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে বালি ব্যাংকার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলি লাগে তার শরীরের পেছনের অংশে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আহত লক্ষণ বাবুকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
সিপিআই নেতা প্রভাত রায় জানান তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এলাকায় তৃণমূলের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর সক্রিয় রয়েছে। মাঝেমধ্যেই নিজেদের মধ্যে ঝামেলার ফলে এলাকায় অশান্তি হয়।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা ছোটন চক্রবর্তীর বক্তব্য কয়লা বালির অবৈধ কারবারের দখলকে ঘিরেই এই ঘটনা। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে সত্য উদঘাটিত হবে বলেও জানান তিনি।
তবে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের যুব জেলা সভাপতি রুপেশ যাদব দাবি করেন এই ঘটনার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে তারা তৃণমূলের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ তাই এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরী করতেই বিজেপি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি বলেন জেলার সমস্ত দুষ্কৃতী কয়লা ও বালি মাফিয়াদের দলে নিয়েছে বিজেপি। তাই কয়লা বালির কারবারে তৃণমূল জড়িত একথা বিজেপির মুখে মানায় না।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার এক অধিআরিক বলেন তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত বছরের ১২ নভেম্বর কাজোরা পঞ্চায়েতের খাসকাজোড়ার নুনিয়াপাড়ায় শ্যুট আউটের ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। ফের এলাকায় একই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিক বাসিন্দারা। বার বার এলাকায় অপরাধের ঘটনা ঘটায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।