দুর্গাপুরের যৌণপল্লী থেকে বস্তাবন্দী নরকঙ্কাল উদ্ধার, দানা বাঁধছে রহস্য
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৯ডিসেম্বরঃ
কুকুরের টানাটানিতে ছিঁড়ে যায় একটি বস্তা আর সেই বস্তার ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ে নরকঙ্কাল। বিষয়টি চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে দুর্গাপুরের কাদারোড এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ওই অর্ধগলিত নরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে নরকঙ্কালের সাথে ওই এলাকায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক ব্যাক্তির সম্পর্ক রয়েছে বলে নিখোঁজ ব্যাক্তির পরিবারের দাবি। মঙ্গলবার সকালে কাডারোডের যৌণপল্লী এলাকায় একটি নর্দমার আবর্জনার স্তুপ থেকে ওই বস্তাটি টেনে বের করে কুকুর যা এলাকাবাঈদের নজরে আসার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ারিয়া থানার অন্তর্গত সিমেন্ট কলোনীর বাসিন্দা মঙ্গল বাউড়ি(৩২) নামে এক যুবক সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই সময় তার পরনে ছিল হাফ প্যান্ট যা, ওই বস্তাবন্দী নরকঙ্কালের পরনেও রয়েছে। তাতে সন্দেহ হয় যে ওই নরকঙ্কালটি সম্ভবতঃ মঙ্গলেরই হবে। সেই সময় নিখোঁজ ডায়েরীও করা হয়েছিল মঙ্গলের পরিবারের তরফে।
মঙ্গলের আত্মীয়া লক্ষ্মী বাউড়ি জানান, মঙ্গলের মা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী ছিলেন। সাত বছর আগে মঙ্গলের মা মারা যাওয়ায় সংস্থা থেকে এক কালীন মোটা টাকা পেয়েছিলেন মঙ্গল। তারপর থেকে মঙ্গল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মাসী লক্ষ্মীদেবীর কাছেই থাকতেন। পরিবারের দাবি ওই কেউ বা কারা মঙ্গলকে খুন করে ফেলেছে আর ওই বস্তাবন্দী নরকঙ্কালটি মঙ্গলেরই।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। নরকঙ্কালের অবস্থা থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মৃতদেহটি বেশ পুরোনো। তবে বস্তাবন্দী নরকঙ্কালটি ওখানে এলো কিভাবে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সাথে নরকঙ্কালটি আদৌ মঙ্গলের নাকি অন্য কারুর তা জানার জন্য পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সাথে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।